দুর্নীতিবাজ ক্রোড়পতি প্রকৌশলী পাকরাও
বিশেষ প্রতিনিধি : সিভিল এভিয়েশনে এক ক্রোড়পতি দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীকে পাকরাও করেছে দুদক। দুদকের অভিযান টের পেয়ে ওই দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী পাশের অফিসে আত্মগোপন করলেও শেষরক্ষা হয়নি । দুদক সেখান থেকে তাকে পাকরাও করতে সক্ষম হয়। দুদক টিম জাতিরকন্ঠ কে বলেছে, সিভিল এভিয়েশনের ইএম-১ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে আজ ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সময় আছির সিভিল এভিয়েশনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আব্দুল মালেক এর অফিস কক্ষে আত্মগোপন করেছিল। তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক জাতিরকন্ঠ কে জানান, আছির উদ্দিন সকালে তার অফসি কক্ষে বসে অফিস করছিল । দুদকের অভিযান টের পেয়ে সে আমার কক্ষে আসে। দুদক টিম আমার রুমে প্রবেশ করে আছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের ব্যাপারে দুদক যখন প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সে সময় আছির উদ্দিন বলে বেড়াতো যে, দুদক তো আমার কিচ্ছু করতে পারবে না। দুদকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেছি , দুদক আর আমাকে তলব করবে না। মামলাও করবে না। কিন্ত দুদকরে নামে অপবাদ দিলেও দুদক তার পিছু ছাড়নি। অবশেষে দুদক সিএএবির প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের ব্যাপারে তদন্ত করে দুর্নীতির উৎস খুজে পেয়ে মামলাও করেছে, দুদক মামলা করার পর প্রকৌশলী আছির উদ্দিন বেশ কিছুদিন দূরে থেকে অফিস করেছেন । অবশষেে ১২ ডিসেম্বর দুদক তাকে পাকড়াও করলো।
সংশ্লষ্টি সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের দুর্নীতির ফসল অভিজাত উত্তরা ১৪ নং সেক্টরে জহুরা মার্কেট সংলগ্ন বহুতল বিশিষ্ট আলিশান বাড়িটি তার মেয়ের নামে বলে তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে। খোজখবর নিয়ে জানা , তার মেয়ে নাবালক , বয়স ১৮ বছর হয়নি , উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের ছাত্রী।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে , ঘুষখোর , দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের বিরুদ্বে সিএএবির বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নমুলক ৩২ টি ঠিকাদারি কাজে দুর্নীতির অভিযোগে তারই সহকর্মি আরেক নির্বাহি প্রকৌশলী মিহির চাদ দে কর্তৃক সিএএবির চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের এবং দুদকে অনুলিপি প্রদান ,কক্সবাজার বিমানবন্দরে জেনারেটর সংস্থাপন কাজের দুর্নীতি , ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারি ঠিকাদার সাহাবুদ্দিনের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি , না দেয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া নিরাপত্তা পাস ইস্যু করে তাকে ফাসিয়ে দেয়াসহ নানা অভিযোগে প্রকৌশলী আছির উদ্দিনকে দুদক প্রথমে চিঠি দিয়ে তলব করে।
সেই সাথে ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইন্টারন্যাশনালের মালিক সাহাবুদ্দিনকেও দুদক তলব করে , দুদকের চিঠি পেয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুদকে হাজির হয়ে দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী আছির উদ্দিনের বিরুদ্বে তথ্য- উপাত্য দিয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার সহকর্মি প্রকৌশলী মিহির চাদ দেও তার বিরুদ্বে সাক্ষ প্রদান করেন। দুদক তাকে ৫/৭ বার চিঠি দিয়ে তলব করে , অবশষেে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করে।