• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুবৃত্বের শকারে রক্তাক্ত ওসি-দুই ক্রিমিনাল রিমান্ডে


প্রকাশিত: ১১:০৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৮ বার

রাজবাড়ী সংবাদদাতা : রাজবাড়ীতে থানায় ঢুকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বৈদ্যুতিক শকার মেশিন দিয়ে শক দেওয়ার ঘটনায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তারা হলেন, সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিক্রির চর চাঁদপুর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫)।এদের দুজনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। অন্য আরেক আসামি শহীদ ওহাবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আক্কাস আলী মিয়াকে (৪৩) কারাগারে পাঠানো হয়। আক্কাস আলী রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন।
এর আগে সকালে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নীহারিকা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মোতালেব।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লিটন ও শফিকুল ৯ জনের নামে সদর থানায় একটি মারামারির জিডি করতে যান। ওই সময় থানায় ডিউটিরত অফিসার ছিলেন এসআই নীহারিকা। ৯ জনের নামে জিডির বিষয়টি এসআই নীহারিকার কাছে সন্দেহজনক মনে হলে এসআই নীহারিকা তাদের ওসির রুমে নিয়ে যান।

তখন ওসি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য এক এসআইকে নির্দেশ দেন। পরে যখন খোঁজ নিয়ে দেখেন যে তাদের সাথে দুই/তিন জনের ঝামেলা হয়েছে। তখন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান তাদের জেরা করতে শুরু করে। এ সময় লিটন আক্কাসকে কল দিয়ে ফোন পকেটে রেখে দেন। বিষয়টি ওসি দেখে ফেললে তাদের পকেটে কী আছে বের করতে বলেন।
ওই সময় শফিকুলের শরীর তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার একটি মেশিন উদ্ধার করা হয়। এতে শফিকুল ক্ষিপ্ত হন এবং হঠাৎ করেই ওই মেশিন দিয়ে ওসির ওপর আক্রমণ চালান। এতে তার মুখের খানিকটা অংশ রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ শফিকুল, তার অপর সহযোগী লিটন ও আক্কাসকে আটক করে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনাটি যে ঘটিয়েছে শফিকুলের সিডিএমএস যাচাই করে দেখা গেছে তার নামে মারামারির একটি মামলা রয়েছে। তিনজনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।