দুদকের ঘুষফাঁদে ফের পাকরাও-৩
স্টাফ রিপোর্টার : দুদকের ঘুষফাঁদে ফের পাকরাও হয়েছে ৩ জন।এদের ঢাকা, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী থেকে তিনজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিআরটিএর নরসিংদী কার্যালয়ের মেকানিক সুমন কুমার সাহা, ঢাকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক সুলতান হোসেন তালুকদার ও টাঙ্গাইলের নির্বাহী হাকিম ক আদালতের পেশকার জাকির হোসেন। দুদক আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।
দুদক জানায়, লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নাম করে ইয়াছিন আরাফাতের কাছে বিআরটিএর সুমন কুমার সাহা ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের কিস্তি বাবদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াছিনের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের বিরুদ্ধে নরসিংদী থানায় মামলা করেছে দুদক।
ঢাকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক সুলতান হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। দীর্ঘদিন পার হলেও তিনি চাকরি দেননি। গত ২৫ আগস্ট আসামি সুলতান টেলিফোনে মিজানুরকে বলেন, ঈদের পর তাঁকে চাকরি দেবেন। গতকাল রাতে মিজানুরের মিরপুরের বাসায় এসে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পর তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় মামলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানিয়েছে, টাঙ্গাইলের নির্বাহী হাকিম আদালতের পেশকার জাকির হোসেনের স্বপন মিয়া নামের এক ব্যক্তির মামলা নিষ্পত্তি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তিনি স্বপনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালত চত্বরে ঘুষ নেওয়ার সময় দুদক পেশকার জাকিরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়েছে।