দীপু মনি’র প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট ভুল প্রশ্ন!!
বিশেষ প্রতিনিধি : পররাষ্ট্র থেকে শিক্ষা-এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় পূর্ণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র আজ ছিল প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট এর এস এস সি পরীক্ষা। কিন্তু বিধিবাম ডা. দীপু মনি’র প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট বর্নিল হতে পারেনি। বরং ডা. দীপু মনি’র প্রথম এ্যাসাইনমেন্টে মিললো ভুল প্রশ্ন!! প্রথমে চট্টগ্রামে ভুল প্রশ্ন মিলেছিল।কিন্তু পরে দেখা গেল ঢাকা বোর্ডেও ঘটেছে একই ঘটনা।
আমাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানায়, শিক্ষা মন্ত্রী দিপুমনির প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট ভুল প্রশ্ন!! ঢাকা-চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা’য়-শিক্ষার্থীদের বারোটা বাজার অবস্থা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি, মুন্সীগঞ্জে একটি এবং নেত্রকোনার একটি কেন্দ্রেও এই ধরনের ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা’য় ইতোমধ্যে সাত কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী কেন্দ্র সচিবদের শোকজ করা হয়েছে।কথিত কেন্দ্র সচিবদের ভুলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাতটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।শনিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র অনুসারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবরা ভুলে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নে ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করেন।ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া সাতটি কেন্দ্র হলো চট্টগ্রাম নগরের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় ও পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কক্সবাজরের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান জাতিরকন্ঠ কে বলেন, ‘কেন্দ্র সচিবদের ভুলে প্রথমদিনের পরীক্ষায় সাতটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবার বাংলা পরীক্ষা ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র অনুসারে হওয়ার কথা। কিন্তু সাতটি কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবরা ২০১৯ সালের সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্র না দিয়ে ভুলক্রমে পরীক্ষার্থীদের মাঝে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করেন।
অর্থাৎ গতবারের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য যে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল সেই প্রশ্নই সাতটি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষার্থীদের ভুলক্রমে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভুল করা সাত কেন্দ্র সচিবকে ইতিমধ্যে আমরা শোকজ করেছি। এতে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য সাতটি কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বরসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলেছি। পরীক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিষয় আমরা দেখব। কেন্দ্র সচিবদের প্রশ্নপত্র দেওয়া থেকে নেয়া পর্যন্ত সবকিছুতে সতর্ক থাকতে তাদের বার বার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও যদি তারা এমন ভুল করে তাহলে আমরা কী করতে পারি?’
এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন অভিভাবক জাতিরকন্ঠ কে বলেন, এতবড় পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষার বিষয়টি গাফিলতি ও অবহেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন গাফিলতির দ্বায় থেকে কেউ পার পেতে পারেন না। এতে শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবদের কোন সমস্যা না হলেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এমন ভুলের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পরীক্ষার্র্থীদের সামগ্রিক ফলাফলের ওপর। এমন ভুলের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এবার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১৯০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। প্রথমদিনের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় কোন পরীক্ষার্থী বহিস্কার না হলেও অনুপস্থিত ছিল ৪৭৭ পরীক্ষার্থী।