দিনাজপুরে যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১১
দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে যমুনা অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে। দগ্ধ ব্যক্তিদের যন্ত্রণা আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট।
আজ রোববার ওই কারখানার শ্রমিক বকুল (৪৫), মুন্না (৩২), শফিকুল (৪৫), উদয় চন্দ্র (২২), দেলোয়ার (৫০) ও দুলাল (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে মারা যান। আর গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান ব্যবস্থাপক রঞ্জিত (৫০)।
রংপুর মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মারুফুল ইসলাম ছয়জনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন আটজন শ্রমিকের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শরীরের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ঝলসে গেছে।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবায় জরুরি চিকিৎসা দল সার্বক্ষণিক কাজ করে চলেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিরা এখনো যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। সবার শরীর ব্যান্ডেজে মোড়ানো। রোগীর স্বজনদের আহাজারি থামছে না।
দগ্ধ মুকুল চন্দ্রের ভাই বলরাম বলেন, ভাইয়ের ছটফট করার দৃশ্য দেখে আর ভালো লাগে না। ডাক্তাররা তো চেষ্টা করেই চলেছেন।দগ্ধ সাইদুল শয্যায় কষ্ট-যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাঁর পাশে বসে কাঁদছেন ছেলে পারভেজ। বললেন, ‘কী আর বলি! দেখতে তো পারছেন। ১৯ এপ্রিল দিনাজপুর শহরের রানীগঞ্জ এলাকার ওই কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে অন্তত ২১ শ্রমিকের শরীর ঝলসে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়-
মের্সাস যমুনা অটো রাইস মিলে বুধবার সকাল থেকে ধান ছাঁটাইয়ের কাজ চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে মিলের বয়লার প্রচণ্ড গরম হয়ে বিস্ফোরিত হয়। এত ২৮ জন শ্রমিক আহত হন। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।