• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘দণ্ডিত খালেদার মুক্তির শর্তে নির্বাচন নয়’


প্রকাশিত: ৪:২৯ পিএম, ২১ এপ্রিল ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৯ বার

khalada jail-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার :   বিএনপি ও দলটির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দণ্ডিত কোনো অপরাধীর মুক্তি নির্বাচনের অংশগ্রহণের শর্ত হলে সেই শর্তের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে না। এ বিষয়ে যদি কেউ বাজি ধরে, তাহলে সেই বাজিতে সায় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেই শর্ত মেনে নেওয়া মানে দেশে একটা অEnu-www.jatirkhantha.com.bdপরাধতন্ত্রকে মেনে নেওয়া। সুতরাং যদি কেউ দণ্ডিত অপরাধীদের মুক্তির শর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপরে কুঠারাঘাত। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার পাঁয়তারা করছে। সেই পাঁয়তারার অংশ হিসেবেই দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির প্রশ্নটা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন।

কোনো নেতা-নেত্রীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ সরকার নেয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব নেতা-নেত্রী দুর্নীতি, চুরিচামারি, আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত, আদালত যদি সাজা দেন, তাহলে তিনি কারাগারে থাকবেন। খালেদা জিয়াও দীর্ঘ বিচারের মধ্যে দিয়ে দণ্ডিত অবস্থায় কারা ভোগ করছেন।

তাঁর দল নিবন্ধিত দল, নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব সুযোগ ও অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো বাধা নেই। কিন্তু দণ্ডিত অপরাধীকে মুক্তির শর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়। খালেদা জিয়ার ভাগ্য আদালত ঠিক করবেন, নির্বাচনের ভাগ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের কর্তব্য হলো, যেকোনো মূল্যে রাজাকার, জঙ্গিবাদী, আগুন-সন্ত্রাসী ও তার সঙ্গী বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। এটা তাঁদের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সাইবার অপরাধীদের আটকাতেই এই আইন হচ্ছে।

ডিজিটাল জগৎকে মোকাবিলা করতে এই আইন করা হচ্ছে। সেখানে সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার মতো বিষয় যাতে না থাকে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। সংবিধানে গণমাধ্যমে যে স্বাধীনতা আছে, সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেই আইন করতে হবে।
সংবাদকর্মীদের ওয়েজবোর্ডের আলোকে মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এপ্রিল মাসের যেকোনো দিন মহার্ঘ্য ভাতার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী।