তিন ছাত্রলীগ নেতার অপরণ কান্ড
সাইফুল বারী মাসুম : ব্যবসায়ীকে অপহরণ: তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদকসহ ৩ নেতা রিমান্ডে শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: অপহরণ মামলায় রাজধানীর তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদকসহ তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।আজ শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মেহের নিগার সূচনা এই আদেশ দেন।
ছাত্রলীগের ওই তিন নেতা হলেন: তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক নুরুজ্জামান উজ্জ্বল (২৭), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ (২৪) এবং তিতুমীর কলেজের ছাত্র ও গুলশান থানা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মারুফ হাসান (২৬)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী মো. তৌফিক মোল্লাকে মহাখালীর পর্যটন হোটেলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রাবাসে আটক রাখেন আসামিরা। পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তৌফিককে বেধড়ক পেটানো হয়। খবর পেয়ে বনানী থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এ সময় ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় তৌফিক বাদীসহ ছাত্রলীগের এই তিন নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক মাহাবুব আলম জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা পিস্তল ঠেকিয়ে তৌফিক মোল্লাকে তুলে নিয়ে তিতুমীর কলেজের আঁখি ছাত্রাবাসের ৩০৮ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। পরে আসামির কাছে থাকা বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। আসামিরা লোহার রড, লাঠি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাদীকে বেধড়ক পেটায়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন খান বলেন, তৌফিক নামের এক লোককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় ও মারধরের অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ, যুগ্ম-সম্পাদক নুরুজ্জামান উজ্জ্বল এবং গুলশান থানা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সভাপতি মারুফ হাসানকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানার পুলিশ।
বাদীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা তৌফিকের কাছে এক লাখ টাকা পেত আসামি সোপেন। টাকা উদ্ধারের জন্য তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের এই তিন নেতার সহায়তা নেয় মামলার এজহারনামীয় আসামি সোপেন, অপু বিশ্বাস, আশিক ও সেলিম।
সোপেনের পরিকল্পনায় ছাত্রলীগের এই তিন নেতা বাদী তৌফিককে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। বাদী তৌফিক বলেন, আসামিরা তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পলাতক আসামি সোপেনসহ বাকিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।