• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

তামিম-সাব্বির বাংলাদেশের নিউক্লিয়াস-আজ ছক্কা চারের মহৎসবে টি-টোয়েন্টি


প্রকাশিত: ৩:৫৪ এএম, ১৩ নভেম্বর ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

sabbir-tamim-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান:   তামিম-সাব্বির বাংলাদেশের নিউক্লিয়াস। আজ থেকে শুরু দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের এই দুই তারকা ভয়াল থাবা মারবে জিম্বাবুয়েকে।এই থাবায় ছক্কা চারের মহৎসবে জ্বলে উঠবে নতুন এক বাংলাদেশ।সেই সাথে  আসছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেখিয়ে দেবে এরা।তাছাড়া টাইগারদের সঙ্গে এখন রয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাশরাফি।যার জাদুর ছোঁয়ায় বদলে গেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে আছে বাংলাদেশের কার্টারম্যান খ্যাত মুস্তাফিজুরসহ অনেক খ্যাতিমান তারকা।

তাছাড়া  মার্চ-এপ্রিলে তো ভারতে বিশ্বকাপ, ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘরের মাঠের এশিয়া কাপেও এবার হবে ২০ ওভারের ক্রিকেট। আর ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল টি-টোয়েন্টির উত্তাপ ইতিমধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে।
মিরপুরে আজ ও পরশুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি তাই শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজেরই অংশ নয়। এই দুই ম্যাচ দিয়ে আসলে টি-টোয়েন্টির স্রোতেই ভাসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা।

tiger's........................কাগজে-কলমে জিম্বাবুয়ের জন্যও এটা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চ। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ায় তাদের জন্য সে উদ্দেশ্যটা গৌণ হয়ে গেছে। দেশে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরে এসে বাংলাদেশেও ভরাডুবি দলকে ফেলেছে দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্তত একটা জয় তাদের কিছুটা হলেও জোগাবে অক্সিজেন।

কিন্তু ভালো কিছুর আশায় বুক বাঁধবে, এমন কোনো অবলম্বন যে এ মুহূর্তে পাচ্ছে না এলটন চিগুম্বুরার দল! ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই প্রতিরোধহীন আত্মসমর্পণ। আসেনি দলের আত্মবিশ্বাসে আলো ফেলার মতো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সম্পর্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটাই বিপন্ন জিম্বাবুয়ের প্রেরণার একমাত্র উৎস—এই ক্রিকেট মাঠে ছোট-বড় দলের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয়।

কাল টিম হোটেলে সফরকারী অধিনায়কের কথায়ও শুধু ওটুকু সাহসই ঝরল, ‘আমরা এখন নতুন সংস্করণের ক্রিকেট খেলব। নিজেদের যাতে ফিরে পেতে পারি, এখন সে চেষ্টাই করতে হবে।’
চিগুম্বুরা আরেকটু সাহসী হতে পারেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা শুনে। টি-টোয়েন্টিতে ছোট দল-বড় দলের পার্থক্য কমে যাওয়ার ব্যাপারটাকে ভালোই গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘টি-টোয়েন্টি এমন খেলা যে আগে থেকে অনুমানের সুযোগ নেই। সব সময় আক্রমণে থাকতে হয়, রক্ষণের জায়গা নেই।

বড় দল-ছোট দলের পার্থক্য কমে আসে।’ তারপরও এই সিরিজে জয়েই চোখ মাশরাফির। সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির চিন্তাও থাকছে। টি-টোয়েন্টির সমুদ্রে নামার আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য সেরা দল বাছার কাজটা তিনি শুরু করে দিতে চান আজ থেকেই, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য সেরা কম্বিনেশন খুঁজে বের করা। জেতা তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কম্বিনেশন ঠিক করতে পারা। সামনে এশিয়া কাপ আছে, এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা করার এখনই করতে হবে।’

সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি সে চেষ্টায় কিছুটা হলেও ঘাটতি রাখবে। মাশরাফি তো বারবারই বললেন, সাকিব থাকলে এক রকম, না থাকলে আরেক রকম। দলের সত্যিকারের বিন্যাস একটু এলোমেলো হয়ে যায় তাঁর অনুপস্থিতিতে। তবে অধিনায়ক এর একটা ইতিবাচক দিকও দেখতে পান। সাকিব না থাকলে নতুন কাউকে পরীক্ষা করে তো দেখা যায়! কিংবা পুরোনো কাউকে এনে সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে নতুন রঙে ফেরার। ওয়ানডে সিরিজে সে সুযোগ এক শতে এক শ কাজে লাগিয়েছেন ইমরুল কায়েস।

তবে বাঁহাতি এই ওপেনারের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর মাশরাফির। অধিনায়ক বলেছিলেন, নির্ভার হয়ে খেলতে। আর কোচ তো দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামার সময়ই বলে দিয়েছিলেন, ‘ভয় নেই, তুমি পরের ম্যাচেও খেলছ।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্ভার, স্বাধীন ক্রিকেট খেলার স্লোগান দিচ্ছেন হাথুরুসিংহে।

ক্রিকেটারদের মনে বিশ্বাস গেঁথে গেছে, গত এক বছরে বাংলাদেশ দলের বদলে যাওয়া চেহারার এটাই আসল রহস্য। তবে বড় দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় এখনো কিছু কাজ বাকি। মাশরাফির ভাষায় ‘সংস্কৃতি’ গড়ে তুলতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটা এল লিটন দাসের সূত্র ধরে। গত কয়েক ম্যাচে রান পাননি, তাতেই চারদিকে হই হই পড়ে গেছে তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে। তাঁর মাথায় ছাতা ধরে অধিনায়ক বললেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে এখনো আমরা সংগ্রাম করছি কেন?

১৫ বছরে আমাদের অনেক ক্রিকেটার টেস্ট খেলে ফেলেছে। আপনারাও হয়তো মনে করতে পারবেন না অনেকের নাম। আসলে কাউকে দলে এনে আবার সরিয়ে ফেললে তার প্রতি সুবিচার হয় না। একজন ক্রিকেটারকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।’