তামাশার নির্বাচন চলবে না- ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের হুশিয়ারি
স্টাফ রিপোর্টার : আর কোনো তামাশার নির্বাচন চলবে না। জনগণ আর কোনো তামাশার নির্বাচন বরদাস্ত করবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ শুক্রবার বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জোট নেতারা এই মন্তব্য করেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকারি নীলনকশার কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নয়, জনগণের ভোটের অধিকার ও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার ও সরকারি দল যদি জেদ ও অহমিকা পরিহার না করে তাহলে গণসংগ্রামের পথে তাদেরকে বিদায় নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো তামাশার নির্বাচনের পাঁয়তারা বরদাস্ত করবে না।
তারা আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এবার জনগণকে আন্দোলনে জিততে হবে। তা না হলে ভোটের অধিকার, অবাধ নির্বাচন, রাষ্ট্র ও সংবিধানের সংস্কার কিছুই অর্জন করা যাবে না। নেতারা চলমান গণসংগ্রামকে গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যাওয়ার ডাক দেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার শুধু বিদেশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আর ভুয়া ছবি ছাপাচ্ছে। ভুয়া বলেই দেশে ফিরে জনগণকে জানানোর জন্য কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। গায়ের জোড়ে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে আর দেবে না এই দেশের জনগন। হিল্লি, দিল্লী, জাপান, ওয়াশিংটন, লন্ডন ঘুরে লাভ হবে না। আপনাদের মত নির্লজ্জ, স্বৈরাচারের পক্ষে পৃথিবীর গণতন্ত্রকামী কোনো দেশ দাঁড়াবে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যার রাজত্ব কায়েম করেছেন। সেজন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটা সৌজন্য সাক্ষাৎকে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বলে প্রচার করেছেন। আপনার উন্নয়নের মডেল আইয়ুব খানের মডেল আর এরশাদের মডেল। আপনার পরিনতি সেজন্যে ঊনসত্তর আর নব্বইয়ের মডেলে ক্ষমতা থেকে জোর করে টেনে নামান। আন্দোলন ঠিকঠাক শুরুর আগেই এখন আপোষের আওয়াজ আসছে। সুতরাং এখনই নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের পথ উন্মুক্ত করে দেন।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর সতেরবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। সেজন্য আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ সৃষ্টি করেছি শুধু শাসক পরিবর্তনের জন্য নয় এই রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার অঙ্গীকার নিয়ে। গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলোর অঙ্গীকার, দলীয় সরকারের অধীনে আমরা কেউ নির্বাচনে যাব না। আমরা এই শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের আন্দোলন প্রতিটি জেলায় জেলায় নিয়ে যাব।’
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহ সভাপতি এড. কে এম জাবির, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আক্তার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।