• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

তমিজি তেলেসমাতি-প্রতিমন্ত্রীকে অপমান


প্রকাশিত: ১০:৪২ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

০০ প্রতিমন্ত্রীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে
০০ পাসপোর্ট পোড়ানো ফৌজদারি অপরাধ,বাংলাদেশকে অপমান
০০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখলদারি অভিযোগ তমিজির

শফিক রহমান : জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর ২ আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল কে বিতর্কিত করার অপচেষ্ঠা করছেন হক গ্রুপের এমডি আদম তমিজি হক। তিনি ফেসবুকে দুই দফা বিতর্কিত স্ট্যাটাস দিয়ে পড়ে তা সরিয়ে ফেলেছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, তার এতই যদি সাহস তবে ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাস দুটি সরিয়ে নিলেন কেন? তমিজি প্রতিমন্ত্রীকে নেত্রীর হুমকিও দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তমিজি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল কে রীতিমত হুমকি দিয়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর মত আস্ফালন দেখিয়েছেন। অত্যন্ত নিচু ভাষায় গালমন্দ করেছেন। যা শিষ্টাচার বর্জিত। কারণ, তিনিও একজন আওয়ামী লীগার।কারণ, তখন পর্যন্ত তিনি তার স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

ওদিকে এসব ঘটনার জের ধরে তিনি তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট পুড়িয়ে আরেকটি অপরাধ করেছেন। কারণ, পাসপোর্ট সরকারি সম্পদ। এটি পুড়িয়ে আদম তমিজি হক ফৌজদারি অপরাধ করেছেন বলে দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন বিশেষ শাখা পুলিশের একজন উর্ধ্বতণ কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, পাসপোর্ট সরকারি সম্পত্তি। এটি ছেলে খেলা বিষয় নয়। কেউ পাসপোর্ট বর্জন করতে চাইলে তিনি তা তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে পুড়িয়ে ফেলায় সরকারবিরোধী কাজ করেছেন এবং সরকারি শৃঙ্খলা লংঘন করেছেন । যা ফৌজদারি অপরাধ।

যাহোক, প্রতিমন্ত্রী রাসেলের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে হক গ্রুপের এমডি আদম তমিজি হক শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর তোলপাড় ফেলে দিয়ে বাংলাদেশকে অপমান করেছেন। দেশের একজন জনপ্রিয় নেতাকে
অপমান অপদস্ত এবং জনসম্মুখে হেয় করেছেন। এমনকি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাইবার আইনে অপরাধ করেছেন।

এমনকি শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ফেসবুক লাইফে এসে তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে বলেছেন, যা ফৌজদারি অপরাধের সামিল।তমিজি বলেছেন, এদেশে আর থাকবেন ইউ কে (লন্ডন) চলে যাচ্ছেন। নতুন স্ট্যাটাসে বলেছেন, আপনি যেই হোন না কেন, এদেশ ছেড়ে চলে যান। এখানকার জালিয়াতদের থেকে বাঁচুন।

ফেসবুক লাইফে আদম তমিজি হক দাবি করে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগের লোক আমার এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কাইড়া নিতে মিথ্যা মামলা দিয়া ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছে। তার জন্য আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এই বলে আদম তমিজি তাঁর বাংলাদেশী পাসপোর্টে আগুন ধরিয়ে দেন।

বাংলাদেশী পাসপোর্টটি তার সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য তিনি লাইভে দেখান। এসময় তমিজি বলেন, আপনারা এই নিকৃষ্ট দলের লোকদের ভোট দেবেন না, আর অন্য যারে খুশী দেন।বাই বাই বাংলাদেশ, এই দেশের জন্য আমি প্রযোজ্য নাগরিক না, বাই বাই, বাংলাদেশ, আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয় আপনারা বুঝবেন কারা করছে!

এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে আদম তমিজি হক , হক গ্রুপের এমডি, বাংলাদেশ শরীর গঠন ফেডারেশনের সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আদম তমিজি হকের দুইটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

প্রথম স্ট্যাটাসে হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় শুভাকাঙ্খী, অনেকেই আপনারা এতদিন আমাকে চুতিয়া ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তি থেকে (দিকে) হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’’

এরপর আরো একটি স্ট্যাটাস দেন আদম তমিজি হক। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় নেত্রী, আমি এবং আমার ২য় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল এবং তার চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’’ ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আদম তমিজি হকের স্ট্যাটাস দুটো ভাইরাল হয়ে গেছে।

আদম তমিজি হক অভিযোগ করেছেন, গাজীপুরে টঙ্গীতে অবস্থিত হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য ঐ এলাকার এমপি (যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী), তার চাচা মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত চিফ অপারেশনাল অফিসার (সিওও) মোশফাকুর রহমান রোমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছে। এ নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের অফিসে একটি সালিসী বৈঠক ডাকা হয়েছিল এবং সেখানেই সংবাদ সম্মেলনের কথা জানিয়েছিলেন আদম তমিজি হক। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন ও হোয়াটসএ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

দুবাই প্রবাসি গোল্ড ব্যবসায়ী আরাভ খানের সহমর্মিতা-

এদিকে দুবাই প্রবাসি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আরাভ খানের এ ঘটনায় সহমর্মিতা- জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
একটা মানুষের সাথে কতটা অন্যায় কতটা অবিচার হলে সে তার দেশের নাগরিকত্ব ক্যান্সেল করতে চায়। আমি কোন দল করি না ব্যক্তিগতভাবে আমি আদম তমিজি হক সাহেবকে পছন্দ করি, সে মানবিক কাজ করে ভালো লাগে তাকে, আমি চাই বাংলাদেশ সরকার একটা সুস্থ বিচার করুক যারা ভূমিদস্যু যারা মানুষের টাকা মেরে খায় যারা মানুষের প্রতি জুলুম অত্যাচার করে তাদের শাস্তির আওতায় নেয়া হোক।
উল্লেখ্য রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ভিডিও ৪০ হাজার ভিউ দেখায়, ২৪৬ জন শেয়ার করে এবং ২১৯ জন মন্তব্য করেন।

এদিকে মন্তব্যকারীদের অনেকেই বলেছেন, হক গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক আদম তমিজি হক তার পরিবার কে ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে মানসিকভাবে সে অসুস্থ করে ফেলেছে। ফ্যামিলি ডিপ্রেশন চাপ হাজার হাজার শ্রমিকের রিজিক দাতা তার কোম্পানিকে ধ্বংস করার জন্য কিছু দুষ্ট চক্রকারী কারি তাকে মানসিকভাবে বিপদগস্ত ফেলেছে করে। সে আওয়ামী লীগের একজন বিশ্বস্ত কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী খুবই প্রিয় আস্থাভাজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আদম তমিজি হক।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের কার্যকারী সদস্য।
কিছু দুষ্ট চক্র কারীর কথায় সে কষ্ট পেয়ে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের থেকে চলে যেতে চাচ্ছে। সে কারণে আবেগও কষ্টে সে কিছু ভিডিও পোস্ট করেছে। উনি তার মনের বিরুদ্ধে কষ্টে ভিডিও গুলো দিয়েছে ওই ভিডিওগুলো নিয়ে আপনারা কেউ কোন খারাপ মন্তব্য নিয়েন না। দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা নিয়ে সবার জীবন।
তাই সকল রাগে ও মনের বিরুদ্ধে করে ফেলেছে।
তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করবো উনাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে তার পাশে থাকবেন। কারণ হাজার হাজার শ্রমিকের রিজিক দাতা উনি তার তার হক কোম্পানি ধ্বংস করার জন্য যারা পিছনে লেগেছেন। তাদের বলতে চাই আদম তমিজি হক কে ধ্বংস করা মানে (১০)দশ হাজার পরিবারকে ধ্বংস করা নিঃস্ব করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল প্রার্থনা আপনি বিষয়টা বিবেচনা করে তার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।