• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

‘তখন আদালতের বিবেক কোথায় ছিল’


প্রকাশিত: ১১:৩৩ পিএম, ৩০ আগস্ট ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৮ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার hasina-www.jatirkhantha.com.bdবিচারের বন্ধ করার বিষয়ে আদালতের পদক্ষেপহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “এখন তো কত বিষয়ে দেখি রিট হয়, সুয়োমোটো হয়…তখন যে এত বড় অন্যায় হল, তখন কি উচ্চ আদালতের বিবেক বন্দি ছিল?”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যাকাণ্ডের পর বিচারের পথও বন্ধ করেছিল খোন্দকার মোশতাকের সরকার। পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে ১৯৭৯ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে ওই অধ্যাদেশের বৈধতা দেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কূটনীতিক মিশনে চাকরিও দেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারে বাধা কাটে। তার আগ পর্যন্ত ওই ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিলে আদালতের কোনো উদ্যোগ না থাকা নিয়ে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনায় প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এত বড় বড় আইনজীবী থেকে শুরু করে এত বিবেকবান মানুষ ছিলেন, তারা তো সেভাবে কোনো প্রতিবাদ করেননি।”বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের পরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। “যারা বুদ্ধিজীবী ছিল.. হাতে গোনা কয়েকজন হয়ত এর প্রতিবাদ করেছিল।

আর তো কেউ বলেনি; এই খুনিদের কেন বিদেশে চাকরি দেওয়া হল।”এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের একজনকে পোল্যান্ড রাষ্ট্রদূত হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল বলেও জানান শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা সরকারে ছিল, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ‘ভোগের বস্তু’ বানিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনায় সভায় দলীয় সভানেত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘দুঃশাসনের’ কথাও মনে করিয়ে দেন।

বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে সকলের কাছে বিস্ময়। “এটা আমরা করতে পেরেছি একটাই কারণে যে, জাতির পিতার আদর্শ মেনে তার নীতি অনুসরণ করে, তার প্রদর্শিত পথ ধরে দেশ পরিচালনা করছি।”