• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা-থিম্পু বিদ্যুৎ পানি যোগাযোগ খাতে একযোগে কাজ করবে


প্রকাশিত: ৭:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

Hasina-vutan-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার  :  দুই দেশের সম্পর্ক আরও সংহত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও যোগাযোগ11 খাতে সহযোগিতা জোরদারে দ্বি-পক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিকভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে ঢাকা ও থিম্পু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  তিনদিনের ভুটান সফর শেষে বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

২৬-দফা সংবলিত যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অঞ্চল ও বিশ্বের বৃহত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য দুই দেশ একত্রে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো তেরেসিং তোবগে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার সুযোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আঞ্চলিক কাঠামোয় নীতিগত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিষয়টিকে তারা স্বাগত জানান। তারা আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী সময়ে তিনটি দেশের নেতারা যখন একত্রিত হবেন তখন এই এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে।

দুই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক যোগাযোগের জন্য বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্টের গুরুত্ব অনুধাবন করেন। দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়নে তাদের আগ্রহের কথা জানান।  তারা বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক জোরদার সম্পর্ক এবং বোঝাপাড়ার কথা স্মরণ করেন। এই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভুটানের রাজা জিগমে দরজি ওয়াংচুক। বাংলাদেশ-ভুটান উভয় পক্ষই বিমসটেক, সার্ক ও জাতিসংঘ ও অন্যান্য সব প্রধান ইস্যুতে  নিজেদের অবস্থানসহ অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতার বিষয় মতবিনিময় করেন।

ভুটানে তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ, পাট, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য, প্রসাধন সামগ্রী ও কৃষি পণ্য রফতানির প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। ভুটান এসব পণ্য বাজারজাতকরণ ও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অধিকতর সম্প্রসারণে একমত হয়। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গুঁড়া চুন (লাইম স্টোন পাউডার), জিপ্যাম ও ক্যালসিয়াম কার্বোনেট রফতানিতে শুল্ক ছাড় সমস্যা নিষ্পন্নে তামাবিল-ডাউকি ও নাকুয়াগং-দালু, গোবরাকুরা ও কড়াইতলি-গাসুয়াপারান্দ স্থলবন্দর চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিতে ভুটানের অমূল্য সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের উল্লেখ করে বলেন, ভুটান বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ ও দুর্দশায় সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সোনার বাংলা ভিশনের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের রাজা, রানী ও প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তেসেরিং তোবগে চলতি বছরের ১ থেকে ৫ এপ্রিল ঢাকায় ১৩৬তম আইপিইউ অ্যসেম্বলির সফল আয়োজনের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানে অনুষ্ঠিত ‘অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক ৩ দিনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেছেন।