• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ড.ইউনূসের শপথ গ্রহণ-বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ৯:১৬ পিএম, ৮ আগস্ট ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

 

১৭ সদস্যর উপদেষ্টা পরিষদের শপথ-

 

শফিক রহমান :  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গভবনে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ড. ইউনূসের গা‌ড়িবহর প্রবে‌শের পর বঙ্গভবনে প্রবেশপথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেন নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যরা।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। এর আগে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা রেখে মোট ১৭ সদস্যের উপদেষ্টাদের নামের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন এর হাতে আসা সেই তালিকা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
উপদেষ্টা:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ড. আসিফ নজরুল
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৭. শারমিন মুরশিদ
৮. ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)
৯. আদিলুর রহমান খান
১০. সুপ্রদীপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. মো. নাহিদ ইসলাম
১৬. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই।

যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাক‌বেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।

তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছি‌লেন।এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।