• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

ড.ইউনূসের জেল


প্রকাশিত: ১১:৪৭ পিএম, ১ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৩ বার

শ্রমআইন লঙ্ঘন প্রমাণিত-তবুও জামিন-

 

কোর্ট রিপোর্টার : চাকরী খেয়েও পাওনা টাকা না দেয়ার শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে আরেকটি ধারায় প্রত্যেককে আরো ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওদিকে রায় ঘোষণার পরই পাঁচ হাজার বন্ডে সবার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিন সকালেই রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকার অস্থায়ী আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন ড. ইউনূস। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পর রায় ঘোষণার জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর দিন তারিখ ধার্য করে শ্রম আদালত। ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ রায় কোন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে নয়, গ্রামীণ টেলিকমের কর্তাদের বিরুদ্ধে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তারা ‘ন্যায়বিচার পাননি’, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।