• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ড্যাপ নিয়ন্ত্রণে রাজউকের সার্ভারে থাবা কুচক্রীদের


প্রকাশিত: ৪:১৫ এএম, ৩০ মার্চ ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৩ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  ড্যাপ নিয়ন্ত্রণে রাজউকের সার্ভারে থাবা মেরেছিল কুচক্রীরা। কিন্তু তাতে নাকি কাজ হয়নি বলে দাবি রাজউকের। ফাইল উদ্ধার হয়েছে ৯৫%। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কুচক্রীদের বিরুদ্ধে মামলাও করেনি কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে কোনো তথ্য্ও খোলাসা করছে না কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকের সার্ভার হ্যাক করে ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় আট হাজার গ্রাহকের তথ্য গায়েব করার চেষ্টা হয়েছিলো। তবে ৯৫ শতাংশ তথ্যই পুনরুদ্ধার  করার দাবি করেছে রাজউক। প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন বিভাগের সদস্য তন্ময় দাস জানান, ড্যাপকে বিতর্কিত করতে আবেদনকারীদের জমির দলিল, এনআইডিসহ বিভিন্ন নথি গায়েব করা হয়।

ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র, বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভবনের নকশা ও নির্মানের অনুমোদন দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিনই ভিড় করেন অসংখ্য সেবা গ্রহীতারা। তাদের ভিড় এড়াতে অনলাইনের আবেদন নেয়ার কার্যক্রম চালু করে রাজউক।

কিন্তু গেল ছয় ডিসেম্বর হ্যাক হয় রাজউকের অনলাইন সার্ভার। গায়েব হয় আট হাজার গ্রাহকের নথি। সার্ভার হ্যাক হওয়ার ঠিক আগের দিন পাঁচ ডিসেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ডিটেইল এরিয়া প্লান বা ড্যাপ। যেখানে উল্লেখ করা হয় গত বছরের ২৩ আগস্টের আগে ভবন নির্মাণের জন্য জমা দেয়া আবেদন ড্যাপের আওতায় থাকবে না।
রাজউকের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী বলেন, যারা ড্যাপ চায় না তারাই সার্ভার হ্যাকে জড়িত থাকতে পারে।

তবে রাজউকের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কাজী মো. মাহাবুবুল হক জানান, সার্ভার থেকে গায়েব হওয়া ফাইলের ৯৫ শতাংশই উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা এলাকা ও আফ্রিকার এক দেশ থেকে সার্ভার হ্যাক হয়েছে বলে ধারণা করছে রাজউক। সংস্থার কোন কর্মকর্তা এতে জড়িত থাকলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আরেক সদস্য তন্ময় দাস।

তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নথি গায়েবের ঘটনায় কেউ বাড়তি সুবিধা নিতে পারবে না; কারণ নথির সব তথ্যই সংরক্ষিত আছে বলে জানান তিনি। সার্ভার রাজউকের নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। রাজউকের অনলাইন সেবা কোনো বিভ্রাট ছাড়াই চলছে।
রাজউকের সেবা কার্যক্রম অনলাইন হলেও এখন হার্ড কপি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া সেবাপ্রাপ্তির ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ জমা দিতে হয়। এ কারণে কেউ আবেদন জমার তারিখ পরিবর্তন করেও রাজউকের নতুন ড্যাপের নির্ধারিত ফ্লোর এরিয়া রেশিও থেকে বেশি এফ.এ.আর আদায় করে নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না।