‘ডিজিটাল ঢেঁকি’ যশোরে
যশোর প্রতিনিধি: এবার যশোরে মিলেছে ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’। এক সময় পাড়ায় পাড়ায় দেখা মিলতো ঢেঁকি। ঢেঁকিছাঁটা পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। এখন ঢেঁকি নেই। গায়ের বধূদের একত্রিত হয়ে ঢেঁকি পাড়ানোর চিত্রও দেখা যায় না। তবে ঢেঁকি ঘিরে গায়ের বধূদের জটলা চোখে পড়বে যশোরের একটি গ্রামে। পা ও গায়ের শক্তি ছাড়াই অটোমেটিক ঢেঁকি পাড়ানোর দৃশ্য দেখতে সেখানে ভিড় করছেন নারীরা।
ঢেঁকি শিল্পের ঐতিহ্যে প্রযুক্তির ছোয়া দিয়েছেন যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপাড়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমান। উদ্ভাবন করেছেন বৈদ্যুতিক ঢেঁকির। যা ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’ নামে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে। তার ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’তে ধুম পড়েছে নতুন ধানের চাল ও আটা তৈরির। ঢেঁকিছাটা চাল ও পিঠা-পুলির জন্য আটা করতে দলে দলে আসছেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। থেমে দেখছেন পথচারীরা।
যশোরের ডিজিটাল ঢেকির উদ্ভাবক মাহাবুবুর রহমান ৭/৮ মাস হলো আধুনিক পদ্ধতিতে স্থাপন করেন ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’। বিদ্যুতের স্লুইচ অন করলেই ঢেঁকিতে ধান ভাঙানো শুরু হচ্ছে।
মাহাবুবুর রহমান জানান, নিজে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবক হলেও তিনি ডিজিটাল ঢেঁকিতে ধান থেকে চাল করতে শ্রম দিচ্ছেন। একাজে তার স্ত্রী শাপলা খাতুন ও বৃদ্ধা মাতা সালেহা খাতুন সহযোগিতা করে থাকেন। এ ঢেঁকির মাধ্যমে দিনে ৫-৬ মণ ধান এবং ১০০ কেজি চাল থেকে গুড়া করা সম্ভব ।