ডিআইজি মোখলেছ এর টাকার পাহাড়
০০ সব সম্পদ স্ত্রীর নামে
০০ দুদকের কব্জায়
০০ সারদার অতিঃ ডিআইজি
বিশেষ প্রতিনিধি : সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গেলেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি মোখলেছুর রহমান। সবশেষ তিনি রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।মঙ্গলবার পুলিশের এই কর্মকর্তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
চাকরিজীবনে পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল। এসব সম্পদ তিনি স্ত্রী শরিফা বেগম মনিরের নামে গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে অভিযোগ যায় এই দম্পতির নামে। সংস্থাটি তদন্তে তাদের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের খোঁজ পায়।
এদিকে মঙ্গলবার অবসরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমানকে ১১ নভেম্বর সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জানা গেছে, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি ১৯৯১ সালে পুলিশে যোগ দেন। চাকরিজীবনে বিপুল সম্পদ উপার্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ পড়ে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, কোটি কোটি টাকার মালিক অতিরিক্ত ডিআইজি মোখলেছুর রহমানের গৃহিণী স্ত্রী। তার নামে রাজধানীর শান্তিনগরে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও কক্সবাজারে একটি রিসোর্টে ৪৭৫ বর্গফুট সম্পত্তি রয়েছে। তাছাড়া ৭০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও টয়োটা গাড়ি আছে। তবে কাগজে-কলমে মোখলেছুর রহমানের উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদ নেই। তিনি সব মিলিয়ে অর্ধকোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।
দুদক বলছে, মোখলেছুর রহমান তার অবৈধ আয়কে বৈধ করতে যত ধরনের কৌশল আছে সেগুলো তিনি গ্রহণ করেছেন। স্ত্রীর নামে যত সম্পদের বিবরণী পাওয়া গেছে সবই প্রকৃতপক্ষে মোখলেছুর রহমানের। কারণ, তিনি সব সম্পদের মালিক হয়েছেন বিয়ের পর। তাছাড়া নিজ বাড়ি নেত্রকোনা সদরে ৩০ শতাংশ জমি কিনেছেন।
এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে আরও সম্পদের খোঁজ মিলেছে। তবে এই পুলিশ দম্পতির অভিযোগের তদন্তের সবশেষ অবস্থা জানা যায়নি।