ট্রাম্পের নারী কেলেংকারি নিয়ে তোলপাড়
এনডিটিভি অবলম্বনে প্রিয়া রহমান : মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারী কেলেংকারি নিয়ে তোলপাড় চলছে। ট্রাম্পের এই গোপন মুখোশ ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি-।তারা বলেছে, সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
১১ বছর আগে দেওয়া একটি নারীবিদ্বেষী বক্তব্য গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ফাঁস হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। ২০০৫ সালে ধারণ করা অডিও সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ফাঁস করে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি-র উপস্থাপক বিলি বুশকে টেলিফোনে ওই ‘বিতর্কিত’ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
ফাঁস হওয়া অডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তারকারা নারীদের নিয়ে যা খুশী করতে পারে আর এতে ওই নারীরাও বাধা দেবে না।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এক বিবাহিত অভিনেত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তার আগ্রহের কথাও জানান। মিস ইউনিভার্সসহ কয়েকটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক ট্রাম্প সুন্দরী নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আকাঙ্ক্ষাও জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার সেই মন্তব্য ফাঁস হবার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। শনিবার ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের জন্য এক ভিডিও বিবৃতিতে ক্ষমা চেয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা বলেছি এবং করেছি, তার জন্য আমি অনুশোচনায় ভুগছি। যারা আমাকে কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন, এসব কথা আমার সঙ্গে যায় না। আমি যা বলেছি, আমি ভুল ছিলাম, এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ২০০৫ সালে যখন মন্তব্যটি করেছিলেন তার কিছুদিন আগেই মেলানিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। শনিবার (৮ অক্টোবর) ট্রাম্পের সেই বিতর্কিত মন্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য আর আক্রমণাত্মক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দেন মেলানিয়া। ট্রাম্পকে ক্ষমা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন তা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য ও আক্রমণাত্মক।
আমি যে মানুষটিকে চিনি এ শব্দগুলো সেই মানুষটিকে প্রতিনিধিত্ব করে না। তার নেতাসুলভ হৃদয় ও ভাবনা আছে।
আমি আশা করি লাকজন তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করবে এবং দেশ ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে প্রাধান্য দেবে।’
শুক্রবার ট্রাম্পের সেই মন্তব্য ফাঁস হবার পর বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা বলেছেন তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না।
সর্বশেষ জন ম্যাককেইন এবং কন্ডোলিৎজা রাইসও ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।