ট্রাম্পের আয়কর লুটপাট ফাঁস- ক্ষুব্ধ হোয়াইট হাউস
ডেস্ক রিপোর্টার : অবশেষে ফাঁস হলো ট্রাম্পের আয়কর লুটপাট কাহিনী। এত দিন পর্যন্ত ট্রাম্পই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও আয়কর রিটার্ন জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি।
তাঁর আয়করের তথ্য প্রকাশে ভোটারদের যেমন দাবি ছিল, তেমনি মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসকারী আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসেও তাঁকে রিটার্ন প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেটও তাঁকে আয়কর রিটার্ন প্রকাশের আহ্বান জানান।
কিন্তু বরাবরের মতোই নিজের অবস্থানে ট্রাম্প ছিলেন অনড়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রীতি অনুযায়ী নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা তাঁদের আয়কর দাখিলের তথ্য প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই রীতি ভেঙে ট্রাম্প কিছুতেই নিজের আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করেননি।
কিন্তু ট্রাম্পের সেই কঠোর গোপনীয় আয়কর রিটার্নের তথ্য এবার ফাঁস করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম এমএসএনবিসি। সেই মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি ট্রাম্পের ২০০৫ সালের আয়কর রিটার্নের দুটি পৃষ্ঠা ফাঁস করে।
ফাঁস হওয়া পৃষ্ঠাগুলো থেকে জানা যায়, ওই বছর ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের বিপরীতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দিয়েছিলেন ট্রাম্প।এদিকে, আয়কর দাখিলের এই নথি প্রকাশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে ‘বেপরোয়া’ আখ্যা দিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এভাবে প্রেসিডেন্টের আয়কর রিটার্ন ফাঁস অবৈধ। এটি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার নীতি বিরোধী।
তবে এমএসএনবিসি জানিয়েছে, জনস্বার্থে সংবাদমাধ্যম ট্রাম্পের আয়করের তথ্য ফাঁস করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুযায়ী, জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করতে পারে সংবাদমাধ্যম।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় মঙ্গলবার ট্রাম্পের ২০০৫ সালের আয়কর রিটার্নের আংশিক তথ্য ফাঁস হয়। ওই রাতেই ওই বছরের পুরো আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।
সেখানে জানানো হয়, নির্মাণ খাত থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দেওয়া ছাড়া বিপণন, আবগারি শুল্ক ও সংস্থাপন কর বাবদ কয়েক হাজার ডলার আয়কর জমা দিয়েছেন তিনি।