ট্যানারি মালিকদের বাড়াবাড়ির খেসারত-
বিশেষ প্রতিনিধি : সাভারে স্থানান্তরের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর হাজারীবাগে যেসব ট্যানারি রয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। সাংবাদিকদের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যনারিগুলোতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বেলার করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০১ সালে এক রায়ে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।এরপর ২০০৯ সালের ২৩ জুন আদালত আরেক আদেশে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
এরপরে কয়েকদফা সময় বাড়ানো হয়। ট্যানারি সরাতে সর্বশেষ সময় দেয়া হয় ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।এরপরেও ট্যানারি স্থানান্তর না করায় পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে।
এনিয়ে কয়েকবার শুনানি শেষে গত বছরের ১৮ জুলাই আপিল বিভাগ ১৫৪ ট্যানারি মালিকের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু ট্যানারি মালিকরা জরিমানা দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় সর্বশেষ চলতি বছরের ২ মার্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বমোট ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।