জয়ের নেশায় টাইগারদের আজ টি-টোয়েন্টি যুদ্ধ
স্পোর্টস রিপোর্টার : শুরুতে টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র। ওয়ানডে সিরিজেও একই ফলাফল। এমন সাম্যবস্থায় থেকে আজ টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে সান্ত্বনার ফলাফল থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে হয়তো কিছুটা চিন্তিত থাকতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, ক্রিকেটের জনপ্রিয় এ ফরম্যাটে টাইগাররা সবশেষ জয় পেয়েছিল এক বছরেরও বেশি সময় আগে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ডিএল মেথডে সবশেষ ৫৪ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সুপারটেন নিশ্চিত করলেও ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ১ রানে হেরেছিল তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটের ম্যাচ নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে খেলার সুযোগই পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের শুরুতে এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি ছাড়া বছরের অর্ধেকের বেশি সময়ই তো বলতে গেলে না খেলে কাটাতে হয়েছে টাইগারদের। অক্টোবরে ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে এলেও সেখানে ছিল না টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তাই বলতে গেলে এই ফরম্যাটে দীর্ঘদিনই অভুক্ত ছিল মাশরাফি-মুশফিক-সাকিবরা।
এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও সবকটি ম্যাচেই পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের। তবে সম্প্রতি টেস্ট ও ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয়ের জন্য কিছুটা আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারে বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে টাইগারদের চেয়ে হয়তো এগিয়ে থাকতে পারে স্বাগতিকরাই।
কেননা টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা এখন দুর্দান্ত। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে এসেছে তারা। আর তাই লঙ্কানদের বিপক্ষে বুঝে শুনেই খেলতে হবে তামিম-সাব্বির-সাকিবদের।
এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্ম ছাড়াও মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ টি-টোয়েন্টির কেবল একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ৪টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ৫ ম্যাচের ১টি অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।
ওই ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরাই। অতীত পরিসংখ্যান আর শক্তিতে লঙ্কানরা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে তা সত্য। তবে এই সফরে টেস্ট ও ওয়ানডের মতো চার-ছক্কার ধুন্ধুমার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশ ছাড় দিবে না স্বাগতিকদের- এমনই বিশ্বাস টাইগার সমর্থকদের।