শফিক রহমান. ঢাকা:
গ
নতন্ত্রের মানস কন্যা জয়তু দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।যিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়ে আসছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে যে সব রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা কেউই শেখ হাসিনার মত রাষ্ট্র পরিচালনায় এত সাফল্য দেখাতে সক্ষম হননি।
তাঁকে ঘটা করে দেশরত্ন উপাধি আরো অ
নেক আগেই দেয়া উচিত ছিল এদেশের নাগরিক সমাজের।কিন্তু আমাদের নাগরিক সমাজ নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে এতদিন তাঁকে মূল্যায়ন না করে ভুল করেছে। কারণ, তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন, সমুদ্র সীমানায় দেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন, দেশে এখন আর মঙ্গা নেই, দেশ মধ্যয় আয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে, দেশে তথ্য প্রযুক্তির জোয়ার বইছে।এককথায় দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে বাস্তব সম্মতভাবে।
এছাড়াও শেখ হাসিনা একদিকে দেশে গনতন্ত্র এনেছেন, দেশের স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধপরাধিদের বিচার কার্য শুরু করেছেন, দেশের শিল্পায়ন তরাম্বিত করেছেন, বিদ্যুত সমস্যা এখন নেই বললেই চলে। এতসব সাফল্য শুধু শেখ হাসিনার কারণেই তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত দক্ষতার কারণে সম্ভব হয়েছে।যা ইতিপূর্বে দেশের কোন রাষ্ট্রনায়ক দেখাতে সক্ষম হননি।
তাই দেশের নাগরিক সমাজ আজ তাঁকে দেশরত্ন উপাধি দিয়ে শেখ হাসিনাকে সঠিক স্থানে মূল্যায়িত করছে।যদিও এর আগে ছাত্রলীগ ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে দেশরত্ন উপাধি দিয়েছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাঁকে এই উপাধিতে ভূষিত করেন। তবে এর আগে ২০০১ সালের ১৭ মে পল্টন ময়দানে এক ছাত্র গণসংবর্ধনায় শেখ হাসিনাকে প্রথম ‘দেশরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের প্রারম্ভে আবশ্যিকভাবে “দেশরত্ন” শব্দটি ব্যবহার করব। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তাঁকে “দেশরত্ন” উপাধিতে ভূষিত করছি।’ এ সময় উপস্থিত জনতা করতালির মাধ্যমে এই উপাধিকে স্বাগত জানায়।
ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের’ জন্য তাঁকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২০০১ সালের ১৭ মে ওই ছাত্র গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘দেশরত্ন’ উপাধি দেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। তিনি সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমরা তাঁকে ‘‘দেশরত্ন’’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। তবে অনেকে এটা ব্যবহার করত, অনেকে করত না। আজ শামসুল হক সাহেবের ঘোষণার পর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে যেমন ‘‘বঙ্গবন্ধু’’ ব্যবহার হয়; ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রীর নামের শুরুতে ‘‘দেশরত্ন’’ শব্দটি ব্যবহৃত হবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সব ধরনের সহযোগিতার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় আধুনিক ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। তাঁর অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে যে অবস্থায় খেলা হয়, তিনি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এটা পরবর্তী জয়ে অবদান রাখে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, তিনি যখন নির্বাসনে ছিলেন তখনো একটা সংস্কৃতি ছিল। তা হলো ভয়ের সংস্কৃতি, শঙ্কার সংস্কৃতি। কিন্তু তিনি তা অতিক্রম করে দেশে ফিরেছেন। সাহসের সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে তিনি বিচারের সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ছাড়া আরও বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অনুপম সেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান প্রমুখ।