• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খাদিজা বাবা-ভাইয়ের কান্না হাসপাতালে


প্রকাশিত: ৬:৩৬ এএম, ৭ অক্টোবর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা খাদিজা বেগম নার্গিসকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে 13পড়েন তার বাবা ও ভাই। এ সময় তাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে স্কয়ার হাসপাতালের পরিবেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এ হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন খাদিজার বাবা। সেখান থেকে সরাসরি যান স্কয়ার হাসপাতালে মেয়ের শয্যাপাশে। তিনি দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছার পর মেয়ের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

অন্যদিকে খাদিজার বড় ভাই চীনে অধ্যয়নরত শাহীন আহমদও বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর স্কয়ার হাসপাতালে চলে যান। এসময় খাদিজার বাবা, ভাই ও স্বজনদের আহাজারিতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউ।

মেয়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে খাদিজার বাবা বলেন, শুধু সন্তানদের মানুষ করার জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় প্রবাসে কাটিয়েছি। তিনি বলেন, সন্তান জন্ম দেয়া, তাকে লালন-পালন করা কত কষ্টের। এই সব কষ্টকে আরো বিষাদময় করে তুলে সন্ত্রাসীদের হামলা। আমার মেয়ের মতো কেউ যেন এমন ঘটনার শিকার আর না হয়।

খাদিজার ভাই শাহীন আহমদ বলেন, সবাই আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেনো ওকে সুস্থ করে দেন। দেশবাসীর কাছে আমার বোনের জন্য দোয়া চাইছি। গত সোমবার বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।

এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান।পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।একই সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে সেলাই দেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ভোরে খাদিজাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরেক দফা তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।বর্তমানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, খাদিজার উপর হামলার কথা স্বীকার করে গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বদরুল। সে ছাতক উপজেলার মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।