• মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জালিয়াতের খপ্পরে আইনজীবী রক্তাক্ত


প্রকাশিত: ১০:৪৪ পিএম, ২০ জানুয়ারী ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

 

০০ জামিন বাতিল দাবি আইনজীবীদের
০০ আড়াই কোটি হাতানোর প্রতিবাদ করেছিল জাহাঙ্গীর

আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে সে জামিনে বেরিয়ে ফের হুমকি দিতে থাকে আইনজীবী জাহাঙ্গীরকে।

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি/কোর্ট রিপোর্টার : ঢাকার কুখ্যাত জমি জালিয়াত মোঃ সুরুজ মিয়ার (৬৫) জামিন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবীরা। এই জালিয়াত হত্যাচেষ্ঠা করেছিল সিনিয়র সৎ আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম(৫৮) কে। ঘটনাক্রমে মতিঝিল থানার তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে ধরা পড়ে ওই জালিয়াত। কিন্তু আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে সে জামিনে বেরিয়ে ফের হুমকি দিতে থাকে আইনজীবী জাহাঙ্গীরকে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবীরা শনিবার এক বিবৃতিতে জমি জালিয়াত সুরুজের জামিন বাতিল করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন।

আদালত সূত্র দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানায়, জমি জালিয়াতির আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সৎ আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম(৫৮) কে মেরে হত্যাচেষ্ঠা করেছিল ওই জমি জালিয়াত মোঃ সুরুজ মিয়া। এ ঘটনা ঘটে গতবছর ২০ নভেম্বর ২০২৩ ইং। ঘটনর জের ধরে মতিঝিল থানায় হত্যাচেষ্ঠা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-১৭(১১)২০২৩ ইং, ধারা-৩২৩,৩২৪,৩২৫,৩০৭ ও ৫০৬ দন্ডবিধি।

ভুক্তভোগীরা জানান, মতিঝিল থানা পুলিশের তাৎক্ষনিক তৎপরতায় এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পান এবং গ্রেফতার করা হয় সুরুজ মিয়াকে। সেই বর্বর জালিয়াত সুরুজ মিয়া আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে জামিন নিয়ে বেরিয়ে ফের আইনজীবী জাহাঙ্গীরকে হত্যার হুমকি অব্যাহত রাখে। রবিবার ২১ জানুয়ারী এই জমি জালিয়াতের আদালতে হাজিরা। সে যাতে পুনরায় জামিন না পান সেজন্য ঢাকা বারের সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে,জমি জালিয়াতি ধামাচাপা দিতে ওই জমি জালিয়াত হত্যাচেষ্ঠায় মেরে রক্তাক্ত করেছিল আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলমকে। ঘটনার দিন ওই আইনজীবী জি ন্যাট টাওয়ারে তার ক্লায়েন্ট হান্না ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর মালিক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে কাজ করছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জমি জালিয়াত সুরুজ মিয়া কে ওই আইনজীবী জালিয়াতির আড়াই কোটি টাকা ফেরত দেয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা বলছিলেন। এতেই ক্ষুদ্ধ হয় সুরুজ।

একপর্যায়ে সে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের ফটোফ্রেম দিয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় সজোরে আঘাত করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এ আঘাতে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে। পরে তাকে প্রথমে পুলিশ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মাথায় ১৪টি সেলাই দিয়ে তাঁর প্রাণ রক্ষা করেন। চিকিৎসাশেষে ওই আইনজীবী মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুরুজ মিয়া কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। গ্রেফতাকৃত সুরুজ মিয়া নাটোরের বড়াই গ্রাম এলাকার মহানন্দা গাছা গ্রামের মৃত নবী নেওয়াজের পুত্র।