• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জামায়াত নেতা ডা. ফয়েজকে হত্যা করেছিল তারেক সাঈদ: রিজভী


প্রকাশিত: ৮:২৪ পিএম, ২০ জানুয়ারী ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা ও সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক tarekসাঈদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে হত্যার অভিযোগ করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারেক সাঈদের নেতৃত্বে র‌্যাব-১১ সদস্যরা নির্মমভাবে খুন করে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. ফয়েজ আহমেদ। র‌্যাব সদস্যরা ডা. ফয়েজকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তাকে শয়নকক্ষ থেকে বাড়ির ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তারেক সাঈদের নির্দেশে তাকে (ডা. ফয়েজ) লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে বাড়ির ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই ডা. ফয়েজের মৃত্যু হয়।’

রিজভী বলেন, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে র‌্যাব-১১ ছিল কসাইখানা। সাত খুন ছাড়াও র‌্যাব-১১ এর অধীনে কমপক্ষে ১১ জন নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। দায়সারাভাবে তদন্ত চাপা পড়ে আছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও খবর বেরিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাদের কাছে মানুষ খুন করা ছিল অনেকটা পাখি শিকারের মতো। আলোচিত সাত খুনের ঘটনা নয়, এর আগেও তারা কমপক্ষে ১১ ব্যক্তিকে প্রথমে গুম, পরে নৃশংসভাবে প্রায় একই কায়দায় খুন করে লাশ গায়েব করে দেয়। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও র‌্যাব-১১ এর আওতায় মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা ছিল। সে কারণে এসব জেলায় গুম-খুনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে র‌্যাবের সম্পৃক্ততা থাকার আশঙ্কা আছে অনেকেরই।’

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, ২০১৩ সালে বিএনপি’র সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু ও বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ লাকসাম থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে র‌্যাবের হাতে অপহরণের শিকার হন। এখনও তাদের খোঁজ মেলেনি। রিজভী বলেন, সাত খুনের মামলার যেভাবে বিচার হয়েছে একইভাবে ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া শত শত বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের দায়ের মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই। অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।