‘জামায়াতের সংস্কারের পর নির্বাচন কিসের ইঙ্গিত!’
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গত ৫৪ বছরে কোনও দিন দেখিনি স্বাধীনতা দিবসে একটা মিছিল করতে। যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অক্টোবর-নভেম্বরে একটি নির্বাচনের কথা বলা শুরু করলেন, তখন আপনাদের মুখে রাম রাম। আবার শুনি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কিসের ইঙ্গিত, সংস্কারের পর নির্বাচন? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন। কোথায় ছিলেন ১৬ বছর?শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও পবিত্র মাহে রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি’ শীর্ষক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব প্রশ্ন রাখেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শুনেছি আপনাদের একটা পত্রিকার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা যারা যুদ্ধ করেছিলাম, তাদেরকে অমুসলিম বলা হয়েছে। তাই আবার নতুন চক্রান্ত শুরু করেছেন। কোথায় ছিলেন আমার নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট যখন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হাটু জলে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন, যারা কবরস্থানের মধ্যে জঙ্গলে ঘুমিয়ে জীবন কাটিয়েছেন, যারা আয়না ঘরে মানুষকে মারার শিক্ষা দিয়েছেন তখনও আপনাদেরকে এতো জোরালো কথা বলতে দেখিনি। এখন আবার এই ষড়যন্ত্র কেন। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ১৬ বছর আমরা হাসিনার কাছে মাথা নত করিনি। এখনও এই সরকারকে সমর্থন দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র হলে আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে মাথা নত করবো না।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে। একটু যেন গোলমাল করে ফেলছে কেউ মনে হয়। একটা যেন কোথায় কিসের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। না হলে এই জামায়াতে ইসলাম আওয়ামী লীগকে-শেখ হাসিনাকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জীবন দিতে হয়েছে। আমি মনে করি তার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল শেখ হাসিনার। জামায়াতে ইসলাম আপনারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, পরিণামে আপনাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মেরেছে।
জাতীয় পার্টির জি এম কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনবার জাতীয় নির্বাচনে বৈধতা দিয়ে, শেখ হাসিনাকে আপনি সহযোগিতা করে আপনার দল আজ বিলীনের পথে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন প্রমুখ।