জাতীয় ঈদগাহ’র ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয়
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এবারের ঈদে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় থাকবে। আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের তল্লাশি চৌকি থাকবে।
এছাড়া জামাতে আগত মুসল্লিরা কোনো ধরণের ব্যাগ, লাগেজ, ছুরি, কাঁচি ও দাহ্য পদার্থ বহন করতে পারবেন না। ঈদগাহ ময়দানে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বলেও জানান কমিশনার।
জাতীয় ঈদগাহে ঢাকা শহরের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায়। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ প্রায় ৫০০ স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।ডিএমপি কমিশনার জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি ঈদের জামাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্ম্পকে তিনি বলেন- প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। ঈদগাহের চারদিকে ও ভেতরে সতর্ক অবস্থায় থাকবে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকের পুলিশ।
জাতীয় ঈদগাহে ও তার আশপাশের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে বিপুল সংখ্যক সিসি ক্যামেরা। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে জাতীয় ঈদগাহ ও তার চারপাশে মনিটরিং করা হবে।
নিরাপত্তায় রয়েছে ফায়ার টেন্ডার, কমান্ড ভেহিক্যাল ও ওয়াচ টাওয়ার।
আগত সব মুসল্লিরা তিন ধাপে আর্চওয়ে ও শারীরিক তল্লাশির মধ্যদিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন রোডে দেয়া হয়েছে রোড ব্যারিকেড। নামাজ শেষে নির্বিঘ্নে বের হওয়ার জন্য প্রধান গেটের পাশাপাশি রয়েছে ইমার্জেন্সি গেট।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের ডগ স্কোয়াড দিয়ে ঈদগাহ সুইপিং করা হবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট টিম। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশে প্রতিটি চেকপোস্টে তল্লাশিকালে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।
মুসল্লিরা জায়নামাজ ছাড়া কোনো ধরণের ব্যাগ, ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, অস্ত্র, ছুরি, চাকু, কাচি, গোলাবারুদ ও দার্হ্য পদার্থ সাথে নিয়ে আসবেন না। জায়নামাজ ও ছাতা চেকপোস্টে পুলিশের কাছে খুলে দেখাবেন। ঈদগাহের আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মোটরসাইকেল ও গাড়ি আনা যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ও গাড়ি ট্রাফিক পুলিশের নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করতে হবে। ঈদের জামাত শেষে সবাই একসঙ্গে তাড়াহুড়া করে বের না হয়ে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ধীরে সুস্থে সু-শৃঙ্খলভাবে ঈদগাহ থেকে বের হবেন। যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।