জমি কিনতে লুটপাট-ভিসিসহ ৪জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কেন নয়!
রাবি প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক শিক্ষার্থীর করা আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
গত ৫ মার্চ ‘জমি কিনতে রাবিতে গুরুতর জালিয়াতি’ শিরোনামে জাতীয় একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন আসাদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অতিথি ভবনের জন্য ঢাকায় জমিসহ ইমারত কেনায় সরকারি ক্রয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে গুরুতর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল ও পুনরায় দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার কেনাবেচায় (দলিল এবং চুক্তি সম্পাদন) অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুর্নীতিসহ নানা অসংগতির মাধ্যমে অন্তত সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।