• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জঙ্গিবাদের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: মওদুদ


প্রকাশিত: ৫:২০ পিএম, ১৭ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  দেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও জঙ্গিবাদ উত্থানের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে 2বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, জঙ্গি দমনে সরকারের সততার অভাব আছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের সংগঠনের মোর্চা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

অবশ্য গত কয়েক দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলে আসছেন, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, আর এসবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত।মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে তা অবিশ্বাস করার উপায় নাই। র‍্যাব, পুলিশ দিয়ে এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা যাবে না।

এ জন্য অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সব পর্যায়ে জনগণের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ দমন করা যাবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। দেশের ক্রান্তিকালে সরকার যদি এই উদ্যোগ নেয় এবং বিএনপিকে ডাকে তাহলে বিএনপি সরকারের ডাকে সাড়া দেবে।

জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মওদুদ। তিনি বলেন, সরকার বলছে, জঙ্গিবাদ নিয়ে তাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। তাঁর দাবি, সরকার সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর একটিরও বিচার শুরু করতে পারেনি। এতে বোঝা যায় এ ক্ষেত্রে সরকারের সততার অভাব আছে।

মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে সংবিধান থেকে গণতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সংবিধানে গণতন্ত্র আছে, বাস্তবে নেই।

দশম সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, মানুষকে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক অপরাধ হতে পারে না।

তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে শতাধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। তার ৯৫ শতাংশই আওয়ামী লীগের। এই নির্বাচনের দরকার ছিল না। সরকার এ রকম একটি আইন করলে পারত যে, আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দেবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার পরোক্ষভাবে গণমাধ্যমকে চাপের মধ্যে রেখেছে। সংবাদপত্রের ‘কালো দিবস’ নিয়েও বেশির ভাগ গণমাধ্যম কিছু লেখেননি।আলোচনা সভায় পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।