চৌকষ ৮৬ জন র্যাব-পুলিশ সদস্য পেলেন পুলিশ পদক
শফিক আজিজ.ঢাকা: আজ থেকে তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৫। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্ধোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ ২০১৫ উপলক্ষ্যে এবার চৌকষ ৮৬ জন র্যাব-পুলিশ সদস্যকে পুলিশ পদক দেয়া হয়।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রার পাশাপাশি জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ দমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে আজ বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণীতে তিনি বলেছেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। আমাদের সরকার পুলিশের আধুনিকায়ন এবং সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে যার সুফল ইতোমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে।
পুলিশ সপ্তাহে ২০১৪ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৮৬ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)’, ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ ও ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ এ চার ধরনের পদক প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সম্মেলন, দ্বিতীয় দিন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা। শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, আইজি’জ ব্যাজ, শীল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার ইত্যাদি পুরস্কার বিতরণ। শীল্ড প্যারেড পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ শেষ হবে।
এবার বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্টপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন ৮৬ জন পুলিশ ও র্যাব সদস্য। এদেরমধ্যে তিনজনকে মরণোত্তর পদক দেয়া হবে। আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে পদক তুলে দেবেন।পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ১০ জন, বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা ২০ জন, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) ১৬ জন এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পাচ্ছেন ৪০ জন।
পদক প্রাপ্তরা হলেন, এসবি’র ডিআইজি মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি’র এডিশনাল ডিআইজি শাহাদাত হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার মীর রেজাউল আলম, ডিবির ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, ডিসি কৃষ্ণ পদ রায়, ডিসি শেখ নাজমুল আলম, এপিবিএনের এসপি সালমা বেগম, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, র্যাব-৮ এর মেজর আদনান কবির, র্যাব ইন্টিলিজেন্সের মেজর আব্দুল্লাহ আল-মোমেন, মেজর সাইফুল ইসলাম সোহেল, মেজর মাহবুব আলম, র্যাব-৩ এর মেজর মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, র্যাব সদর দফতরের মেজর আসিফ কুদ্দুস, র্যাব-১২ এর লে. কমান্ডার আলী হায়দার চৌধুরী, ডিএমপি’র এডিসি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, র্যাব ইন্টিলিজেন্সের এডিশনাল এসপি শরিফ উদ্দিন আহমেদ, নরসিংদীর এডিশনাল এসপি শাহনেওয়াজ খালেদ, পুলিশ স্টাফ কলেজের এডিশনাল এসপি জাহিদ হোসেন ভূঞা, ডিবির এডিসি আব্দুল আহাদ, এসবি’র এএসপি আজিজুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজারের এএসপি এস এম সিরাজুল হুদা, র্যাব-৮ এর এএসপি শাহ মো. আজাদ, ক্যাপ্টেন হাসিবুল হক, ডিবি’র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত, জাহাঙ্গীর আলম, মাঈনুল ইসলাম, ইকবাল হোছাইন, মাহমুদা আফরোজ লাকী, এসবি’র এএসপি জুয়েল আমিন, সিআইডি’র এএসপি আফতাব উদ্দিন, এসবি’র ইন্সপেক্টর জুবায়ের আহমেদ খান, ইন্সপেক্টর সৈয়দ সফিকুল ইসলাম, সিআইডি’র ইন্সপেক্টর আবু হেনা মো. ইউসুফ, র্যাব-১০ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল হাকিম শিকদার, ডিএমপি’র দারুস সালাম থানার এসআই ইদ্রিস আলী, মিরপুর থানার এসআই মো: রাসেল, ডিবি’র এসআই বাহাউদ্দিন ফারুকী, চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানার এসআই জহির হোসেন, চট্টগ্রাম ডিবি’র এসআই সন্তোষ কুমার চাকমা, টাঙ্গাইল ডিবি’র এসআই অশোক কুমার সিংহ, রংপুর কোতয়ালি থানার এসআই সিরাজুল হক, ফেনী মডেল থানা এসআই কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ ডিবি’র এসআই মলয় চক্রবর্তী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম, র্যাব-১৩ এর এএসআই দুলাল হোসেন, সাতক্ষীরার এএসআই আমিনুল ইসলাম, শিবচর থানার এএসআই নিউটন কুমার দত্ত, ট্যুরিষ্ট পুলিশের এএসআই মিল্টন দে, র্যাব-৭ এর কর্পোরাল মাসুদ মিয়া, রাজশাহী আরআরএফের নায়েক দুলু মিয়া, র্যাব-৮ এর ল্যান্স নায়েক সাইফুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক বন্দে আলী মোল্যা, লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ থানার মরহুম কনস্টেবল ইমান উদ্দিন, কমলনগর থানার মরহুম কনস্টেবল আবদুল আউয়াল ভূঁঞা, মুন্সীগঞ্জের মরহুম কনস্টেবল আব্দুল মালেক, বিএমপি’র কনষ্টেবল আনোয়ার হোসেন, র্যাব-১৩ কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম, সাতক্ষীরার কনস্টেবল আব্দুর রহিম, পুলিশ সদর দফতরের কনস্টেবল নাছির উদ্দিন, নোয়াখালী পিটিসি’র কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, র্যাব-৭ এর লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ, ঢাকার এসপি হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের এসপি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, চট্টগ্রামের এসপি এ কে এম হাফিজ আক্তার, খুলনার এসপি হাবিবুর রহমান, টাঙ্গাইলের এসপি সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, সাতক্ষীরার এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, গোপালগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান, নরসিংদীর এসপি আমেনা বেগম, লক্ষ্মীপুরের এসপি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, মানিকগঞ্জের এসপি বিধান ত্রিপুরা, ডিএমপি’র এডিসি আনোয়ার হোসেন, হাটহাজারী সার্কেল এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, সাভার সার্কেলের মোহাম্মদ রাসেল শেখ, ফরিদপুরের ভাঙ্গা সার্কেলের শামছুল হক, রমনা থানার ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক, ফেনী মডেল থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, মাগুরার শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন, লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর শাহজাহান ও পাইকগাছা থানার ইন্সপেক্টর সিকদার আককাছ আলী।