চেক প্রতারণা-ডেসটিনি’র আশরাফুল আমীনের এক বছর জেল, ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার : চেক প্রতারণা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আমীনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আবুল কাশেম। রায়ে ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা বাদীকে প্রদান এবং ১ বছরে সাজার আদেশ দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় কর্মরত ১০২ জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেন মালিকপক্ষ। এ সময় দৈনিক ডেসটিনির প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের পক্ষে ডেসটিনি গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আমীন পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর নোমান সালমানের নামে ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৮ টাকার এইচএসবিসি ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন।
এরপর ডেসটিনি কর্তৃপক্ষ টাকা না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিলে নোমান সালমান সাংবাদিকদের নিয়ে আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে কতিপয় সাংবাদিক দৈনিক ডেসটিনিতে যোগদান করলেও বাকিরা আন্দোলন চালিয়ে যান। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ‘বেতন-ভাতা আদায় সংগ্রাম কমিটি’র আহ্বায়ক নোমান সালমানকে ডেসটিনি কর্তৃপক্ষ হুমকি দিলে নোমান সালমান ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করেন। (যার নং- সিআর-৯৬৯/১৩)।
পরবর্তীতে আশরাফুল আমীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এরপর মামলাটি স্থানান্তর হয় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৩য় অতিঃ আদালতে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের নভেম্বরে পুনরায় বদলি হয় ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
দীর্ঘদিন পর আজ ১৬ জুন বৃহস্পতিবার ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আবুল কাশেম রায় প্রদান করেন। অন্যান্য কার্য তারিখে উপস্থিত থাকলেও এদিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
বিচারক চেক প্রতারণার দায়ে আসামির ১ বছর সাজা ও ৬৫ লাখ টাকা মামলার বাদী নোমান সালমানকে প্রদান করার আদেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সাবেক এপিপি মাহফুজুর রহমান পাটোয়ারী।
মামলার বাদী নোমান সালমান জানান, মামলার রায় পেতে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের প্রতিফলন ঘটলো। এ থেকে ডেসটিনি কর্তৃপক্ষের বোধদয় হওয়া উচিত, সাংবাদিকদের টাকা আত্মসাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে রক্ষা পাওয়া যায় না।