চীন রাশিয়া এখন মাশতুতো ভাই!
আন্তজার্তিক ডেস্ক : চীন রাশিয়া এখন যেন মাশতুতো ভাই! দু’দেশের বাবখানা যেন তেমনই। সম্প্রতি চীন সফরে এমনটা্ই দেখা গেছে পুতিন ও জিনপিং কে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একসঙ্গে রাতের খাবারও খেয়েছেন তারা। বেইজিং অলিম্পিক উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দেশটিতে গিয়েছিলেন পুতিন। সেই সময় রুশ-চীন সম্পর্ককে ‘অবাধ’ দোতনায় বিশেষায়িত করেছেন শি জিনপিং।এর এক সপ্তাহ পর ইউক্রেনে বর্বর হামলা চালায় রাশিয়া। তবে এ ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি চীন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে শুরু থেকেই মৌন সমর্থন দিয়ে আসছে চীন। দেশটিতে রাশিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘন কখনো বেইজিংয়ের চোখে পড়েনি। চীন বারংবার তোতা পাখির মতো মস্কোর আওড়ানো বুলি চর্চা করেছে। কখনো রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। বরং রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ক্রেমলিনকে সমর্থন দিয়ে ন্যাটোকে ইউক্রেন সংঘাতের সূত্রপাতের জন্য দায়ী করেছে।
তবে সম্প্রতি জিরো-কোভিড নীতির কারণে অর্থনৈতিকভাবে কিঞ্চিত ভেঙে পড়েছে দেশটি। তাই এবার হয়তো পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর প্রতি একটু নরম হবে বেইজিং, ধারণা বিশ্লেষকদের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এ মাসেই চীনে সফর করবেন। ২০১৮ সালের পর এটাই দেশটিতে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর হতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রনেতারাও সফর করবেন। সফরে পশ্চিমাদের সঙ্গে চীনের সম্পর্কোন্নয়নে জোর দেবেন নেতারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার জন্য চীনকে জোর দেবে পশ্চিমারা। তবে চীন-রুশ সম্পর্ক অনেক পুরোনো। তাদের সম্পর্ক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়াকে সমর্থন দিতে চীনকে নিষেধ করে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ অন্যরা রাশিয়াকে নানাভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির সঙ্গে একতরফাভাবে বাণিজ্য করেই যাচ্ছে চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন আসন্ন সফরে চীন-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসবে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন না দিতে চীনের প্রতি গুরুত্ব দেবেন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও চীন সফর করবেন। তিনিও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান করবেন। তথ্যসূত্র: সিএনএনে সিমন ম্যাকার্থির লেখা নিবন্ধ।