চরমোনাই পীরকে চেয়ার মেরে ঘুষি
বরিশাল প্রতিনিধি : সকাল ১০টা থেকেই ছোটখাটো অপ্রীতিকর ঘটনায় নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হতে থাকে। বেলা যত গড়িয়েছে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ যেন উপরের দিকে উঠতে থাকে। তবে পরিস্থিতির বিস্ফোরণ ঘটে যখন একটি কেন্দ্রে হাতপাখার প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর দ্বিতীয়বারের মতো হামলার ঘটনা ঘটে। চেয়ার দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। ঘুষিও লাগে তার মুখে। ঘুষিতে তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।
মুহূর্তে চারদিকে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। হাতপাখার কর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করতে থাকেন। আহত প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম ছুটে যান কমিশনার অফিসে। নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়।
কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এরপরই বরিশালের আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। সঙ্গে মেঘের গর্জন। কিছু ভোটার ভোট কেন্দ্রের বাইরে থাকলেও তারা দৌড়ে আশ্রয় নেন নিরাপদ স্থানে। ফাঁকা হয়ে যায় কেন্দ্রগুলো। উত্তপ্ত নগরী কিছুটা শান্ত হয়।
ইতিমধ্যে গুঞ্জন রটে, ইসলামী আন্দোলন নগরীতে বড় ধরনের বিক্ষোভ করতে পারে। চরমোনাই থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বরিশালে ঢুকে পড়েছে। তারা যেসব স্থানে জড়ো হতে পারে সেসব স্থানে পুলিশ কঠোর নজরদারি শুরু করে।
ওদিকে হাত পাখা প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য এড. লস্কর নুরুল হক দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২/১টিতে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য আমাদের প্রার্থী দায়ী হতে পারে না। আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি, সঠিক তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দেয়ার জন্য।এদিকে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলাকারীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। প্রার্থীর মিডিয়া সেল অবিলম্বে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।