• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চবিতে সুদের ব্যবসা-১০ হাজারে ১ হাজার ১ লাখে ১০ হাজার


প্রকাশিত: ৫:৫৭ পিএম, ২৫ মে ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

চবি প্রতিনিধি : এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে সুদের কারবারের অভিযোগ উঠেছে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিরাপত্তা দপ্তর থেকে উগ্র জঙ্গিবাদবিষয়ক বই উদ্ধারের ঘটনার পর নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সহকারী মো. ফেরদৌসের সুদের ব্যবসা। আর এই ব্যবসায় লগ্নি রয়েছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঊর্ধ্বতন সহকারী মো. ফেরদৌসের কাছ থেকে সুদের হারে ঋণ নিয়ে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। ২০ হাজারের ওপরে ঋণ নিতে গেলে অনুমোদন লাগে ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়ার। ঋণ গ্রহণের সময় নির্দিষ্ট অঙ্কের চেক নিয়ে থাকেন ঊর্ধ্বতন সহকারী মো. ফেরদৌস। সুদের এই ব্যবসা গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে ‘ওপেন সিক্রেট’। মাঝেমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরে সুদ আদায় নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে বসতো বৈঠক। সুদ আদায়ে নিরাপত্তা প্রধান হিসেবে অসহায় কর্মচারীদের ওপর ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ তৈরি করার অভিযোগও রয়েছে ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, ১০ হাজার টাকা এক সপ্তাহের জন্য নিলে বিনিময়ে সুদ দিতে হয় ১ হাজার। ১ লাখ টাকায় সপ্তাহ শেষে সুদ দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। অভিযোগের বিষয়ে নিরাপত্তা দপ্তর প্রধান গোলাম কিবরিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।এদিকে গত রোববার নিরাপত্তা দপ্তর থেকে উগ্রবাদী বই উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ওয়াহিদুল আলম বলেন, কয়েক শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন সহকারীর টেবিল থেকে উগ্রবাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। তারা নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। আমি তাদের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিতে বলেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে।ঊর্ধ্বতন সহকারী মো. ফেরদৌস ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম কিবরিয়ার ক্যাম্পাসে সুদের ব্যবসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রকম কোনো অভিযোগ থেকে থাকলে তদন্ত কমিটি সে বিষয়েও তদন্ত করবে।