চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার যানজট
মোস্তফা কামাল প্রধান.গাজীপুর: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ওই মহাসড়কে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট লেগেছে। সকাল নয়টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়কে ধীর গতিতে গাড়ি চলছিল।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী যাত্রী ও গাড়িচালকদের ভাষ্য, গতকাল বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকায় ওই মহাসড়কে একটি ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হন। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মাইক্রোবাসটি সরিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টির কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়। এ সময় মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে যানজট শুরু হয়। গভীর রাতে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর সেতুতে ওই মহাসড়কে ঢাকাগামী মাছবোঝাই একটি ট্রাক বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়। এতে যানজট একপর্যায়ে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলতে থাকে।
ঢাকা থেকে জয়পুরহাটগামী কাভার্ডভ্যানের চালক আব্দুর রাজ্জাকের ভাষ্য, রাত তিনটার দিকে তিনি ঢাকা থেকে রওনা হন। প্রায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে সকাল সাড়ে আটটার দিকে মির্জাপুর পার হন। কতক্ষণ যানজটে আটকে থাকতে হবে, তা অনিশ্চিত।
ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত রুহুল আমিনের ভাষ্য, গতকাল ঢাকার বিশ্বরোড এলাকা থেকে তিনি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসে উঠে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হন। যানজটের কারণে রাত ১১টার দিকে মির্জাপুরে নেমে এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। আজ সকালে তিনি আবার মির্জাপুর থেকে গন্তব্যে রওনা হন।
বাইপাইল থেকে রংপুরগামী বাসের চালকের সহযোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, ভোরে তাঁরা যাত্রী বোঝাই করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। চন্দ্রা থেকে যানজটের কারণে তাঁরা সময়মতো রংপুর যাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, যানবাহনের চাপের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে যানবাহনের গতি কম থাকায় যানজট লাগে।
মির্জাপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক সাজেদুল ইসলাম বলেন, সোহাগপুর সেতুর ওপর থেকে বিকল ট্রাক সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে যানজট স্বাভাবিক হয়ে আসছে।