গোদাগাড়ির অপারেশন ‘সান ডেভিলে বোমা অস্ত্র উদ্ধার
রাজশাহী থেকে ইকরাম কবির : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাছমারা গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অপারেশন ‘সান ডেভিল’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার ১টায় উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ।
তিনি বলেন, অপারেশন ‘সান ডেভিল’ শেষ হয়েছে। এই অপারেশনের দ্বিতীয় দিনে জঙ্গি আস্তানা থেকে ১১টি বোমা, একটি পিস্তল, গানপাউডার, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।গোদাগাড়ী উপজেলার মাছমারা গ্রামে একটি ‘জঙ্গি আস্তানা’র খোঁজ পেয়ে বুধবার রাত থেকে ধানক্ষেতের মাঝে একটি টিনের বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
অপারেশন ‘সান ডেভিল’ নামের এই অভিযান চলাকালে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার পর জঙ্গিরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ জঙ্গি— সাজ্জাদ আলী, তার স্ত্রী বেলী, ছেলে আলআমিন ও মেয়ে কারিমা এবং আশরাফুল নামে আরেক যুবক নিহত হয়।এছাড়া জঙ্গিদের হামলায় গুরুতর আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে অপারেশন ‘সান ডেভিল’ শুরুর ৩ ঘণ্টা পর আত্মসমর্পণ করে নিহত জঙ্গি সাজ্জাদ আলীর মেয়ে সুমাইয়া। সে দীর্ঘক্ষণ মাঠে বসেছিল। তার শরীরের বিস্ফোরক বাঁধা আছে ধারণা করে পুলিশ দূর থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করছিল। পরে সে আত্মসমর্পণ করে। তার আগে জঙ্গি আস্তানা থেকে বেরিয়ে আসা দুই শিশুকে নিজেদের জিম্মায় নেয় পুলিশ।
এছাড়া অভিযান চলাকালে জঙ্গিদের হামলা ও বিস্ফোরণে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়, যাদের রাজশাহী মেডিকেল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া অভিযানের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকাল থেকে জঙ্গি আস্তানায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ঢাকা থেকে আসা বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে বলে সকালে জানান গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুর আলম মুন্সি। সে সময়ও তিনি জঙ্গি আস্তানা থেকে ১১টি বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, উদ্ধার করা সবগুলো বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।