• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

গুলিস্তান আশেপাশের এলাকা হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ


প্রকাশিত: ৭:১১ পিএম, ১৬ জানুয়ারী ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮০ বার

 
স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর গুলিস্তান ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে হকার ggও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজমুস শোয়েব। তিনি জানিয়েছেন,আজ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গুলিস্তান থেকে উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। পুরোপুরি উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, গতকাল উচ্ছেদের সময় সিটি করপোরেশন কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হকাররা। সেই ধরনে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আজ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ দেখা গেছে উচ্ছেদ অভিযান শুরু পর গুলিস্তানের ফুটপাত থেকে হকাররা সটকে পরে। তবে তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, বাক্স বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানে গুলিস্তানে সাবেক সিনেমা হলের দক্ষিণ দিকে যুবলীগের অফিসও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় যুবলীগ নেতারা বিরোধীতা করলেও তা শোনা হয়নি।

এদিকে গতকাল রোববার মতিঝিলের উচ্ছেদ হওয়া হকাররা আজ সোমবার সকাল ১০টায় নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে সোমবার সকাল থেকে নগর ভবনের সামনে কাউকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। কিন্তু হকার নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল মেয়রের সঙ্গে আলোচনা আলোচনা করছেন বলে জানান গেছে।

উল্লেখ, ফুটপাতে হাকারদের বেচাকেনার কারণে গুলিস্তান ও এর আশেপাশের এলাকার পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নগরবাসী।নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে সিটি করপোরেশনও বারবার চেষ্টা করেছে হকার উচ্ছেদের। তবে এবার হকারদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি।

মানবিক কারণে হকারদের উচ্ছেদ না করে তাদের একটা নির্দিষ্ট একটা সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে আসছে রোববার থেকে।
ওই দিন থেকে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার আগে কোনো হকার বসতে দেওয়া হবে না।

ডিএসসিসির এ কর্মসূচির আওতায় গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাত ও সড়ক থাকবে। আগামী রোববার থেকে কার্যকর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন। এ কাজে ঢাকা মহানগর পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।