গুলশানে কার জিঘাংসায় গুলিতে খুন হলো নীলারানী
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানে কার জিঘাংসায় গুলিতে খুন হলো নীলা আক্তার রানী-তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ঘটনার তিন দিন পরও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেন কোন ঘাতককে। এমনকি পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনার মোটিভ’ও চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়নি। এদিকে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। থানার দারোগা ইভা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গুলশান ৪৩ নাম্বার রোডের ৩৮ নাম্বার বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢামেক নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার ময়নাতদন্তে গুলিতে নিহতের কথা জানায় ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ। একইদিন সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন এসে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন। এসআই ইভা আক্তার জানান, নিহতের ছোট ভাই মুরাদ হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন, মামলা নাম্বার ৩০।
মুরাদ হাসান জানান, ‘বোন নীলা এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শুধুমাত্র মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকতো। তার স্বামী আলম ঢাকায় গাড়ি চালায়। মৃত্যুর পর শুনেছি তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। এর আগে আমরা এই কথা জানতাম না। আমার বোন ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বোনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহতের সাবেক স্বামী আলম জাতিরকন্ঠকে জানান, ‘আমাকে সে (রাণী) ডিভোর্স দিয়েছে ছয়-সাত মাস আগে। এরপর আর যোগাযোগ নাই। পরে কালকে জেনেছি সে মারা গেছে। শুনেছি আমাকে ডিভোর্সের পর সে আরও একটা বিয়ে করেছিল। সেটাও নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি পেট্রোল ডিউটিতে ছিলাম। খবর পেলাম একজন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল পাঠাই। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানতে পেরেছি তার শরীর থেকে দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি।সন্দেহভাজনদের ঘিরে কাজ শুরু হয়েছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’