বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুত্রশোকে কাতর বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এই জবরদখলকারী, ভোটারবিহীন সরকার হিংস্র অমানবিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কতখানি নিষ্ঠুর ও বিবেকশূন্য হলে একটি সরকার এই জঘন্য অপকর্মটি করতে পারে, যা দুনিয়াতে মনে হয় নজিরবিহীন।
আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রীসহ সব নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে ভয়াবহ পরিণতর জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।অবরোধের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে হুকুমের আসামি করে শনিবার মামলা করে পুলিশ।
নাশকতার জন্য অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা জিয়াকে দায়ী করে দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, গাড়ি পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য বিএনপি নেত্রীকে হুকুমের আসামি করা যুক্তিযুক্ত।নাশকতার জন্য সরকারকে দায়ী করে আসা রিজভী বিবৃতিতে যাত্রাবাড়ীর পেট্রোল বোমা হামলায় ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন। অগ্নিদগ্ধদের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি।
সরকার আন্দোলন দমনে মামলা-হামলার পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে আসা বিএনপি বলেছে, অবৈধ অপশক্তির কোনো অশুভ পরিকল্পনাই ফলপ্রসূ হবে না। জনগণ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহত থাকবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত খালেদা গত গত ৫ জানুয়ারি কার্যালয় থেকে বের হতে বাধা পেয়ে লাগাতার অবরোধ ডাকেন।গুলশানের ওই কার্যালয় থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হলেও কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার বক্তব্য, ২০ দলের দাবির নিয়ে সরকারকে সংলাপ ডাকতে হবে।
ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর শনিবার পাওয়ার পর শোক চেপে রেখেই তিনি কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বলেন বলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন।