• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে শুটিং স্পটে নায়িকা ধর্ষণ


প্রকাশিত: ৩:২৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০৭ বার

গাজিপুর প্রতিনিধি :  গাজীপুরের একটি শুটিং স্পটে নায়িকা ধর্ষণে তোলপাড় চলছে। বলা হয়েছে, শুটিং স্পটে পরিচালক aaaaaএকাধিকবার ধর্ষণ করেছেন নায়িকাকে। ওই নায়িকা অভিযোগ করেছেন, শামীম নামে ওই পরিচালকের নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। অভিনয়ের জন্য গাজীপুরের নীলেরপাড়া এলাকায় শুটিং স্পটে গিয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।

এ ব্যাপারে  শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় ওই তরুণী পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মিজানুর রহমান ওরফে শামীম (৫৩) নামের ওই পরিচালক ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুটিং স্পটে তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। মিজানুর রহমানের বাড়ি গাজীপুর জেলা শহরের বিলাসপুর এলাকায়। অন্য আসামিরা হলেন মিজানুরের সহযোগী আতিক (৩০) ও ক্যামেরাম্যান মো. মামুন (২৬)।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। বর্তমানে তিনি ঢাকার সাভার উপজেলায় বোনের পরিবারের সঙ্গে থেকে মডেলিংয়ের কাজ করেন। সম্প্রতি মিজানুর ওই তরুণীকে নির্দিষ্ট সম্মানীতে শামীম তার পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ৮ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের নীলেরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই শুটিং স্পটে যান তরুণী। সেখানে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ও শুরু করেন।

তবে ১০ এপ্রিল রাতে মিজানুর তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। এ সময় আতিক ও ক্যামেরাম্যান মামুন কক্ষের দরজায় পাহারা দিয়ে মিজানুরকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেন। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করলে মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দিয়ে তরুণীকে দিয়ে অভিনয়ের কাজ চালিয়ে যান মিজানুর। এরপরও তিনি তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

সর্বশেষ ২৩ এপ্রিল মিজানুর ধর্ষণ করার পর ওই তরুণী কৌশলে শুটিং স্পট থেকে বের হয়ে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ওই ঘটনার পর থেকে অভিযোগকারী তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি করেন।

তবে মিজানুর কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নাটক বা চলচ্চিত্র তৈরি করছিলেন, তা জানাননি ওই তরুণী। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জাতিরকন্ঠকে বলেন, শনিবার ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।