গাজীপুরে প্রতারকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
মোস্তফা কামাল প্রধান : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের বড় ভবানীপুর এলাকার কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, প্রতারক
ও ভূমি দস্যুর যন্ত্রণা ও অত্যাচারে বেশ কয়েকটি পরিবার নানা ভাবে অহেতুক হয়রানীর শিকার হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে গাজীপুরের একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বড় ভবানীপুর গ্রামের হাজী মোঃ কফিল উদ্দিন, হাজী মোঃ সেকান্দার আলী ও আব্দুল হামিদ গং ওই অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তারা বলেন- ভবানীপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও চক্রবর্তী এলাকার ভাড়াটিয়া আবু তাহেরসহ বাচ্চুর ভাই তোফাজ্জল, টোটা ও রমিজ উদ্দিন গং তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে আমাদেরকে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি-জমার বিষয় নিয়ে নানা ভাবে অহেতুক হয়রানী করে আসছে। তারা লোক মারফৎ আমাদেরকে খুন-জখমসহ পারিবারিক ভাবে ক্ষয়-ক্ষতি করবে মর্মে হুমকী-ধামকী দিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাজী কফিল উদ্দিন জানান- আমাদের সাথে ওরা যে জমি নিয়ে অযথা বিরোধ করে আসছে, সেই জমিতে ২০১৫ সালে আমরা মসজিদ নির্মাণ করেছি। বাকি জমিতে সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন গাছ-গাছালি লাগিয়ে আমরা ভোগ দখলে রয়েছি।
হাজী সেকান্দার আলী অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদেরকে বলেন- বিগত ৮ বছর পূর্বে আমরা ওই সম্পত্তি ক্রয় করে নামজারি পূর্বক খাজনা পরিশোধের মাধ্যমে দখলে রয়েছি। অপরদিকে আব্দুল হামিদ বলেন- ওদের হুমকীর মুখে আমি জয়দেবপুর থানায় একাধিক জিডি পর্যন্ত করেছি। ওরা শান্তিপ্রিয় লোক নয়। সুযোগ পেলেই ওরা আমাদের ক্রয়কৃত বেড়া দিয়ে ঘেরা জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে নানা ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। আর ওই সকল বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য বিচার-শালিস বৈঠকও হয়েছে।
তাছাড়া তারা সাংবাদিক সম্মেলনে তারা আরো অভিযোগ করেন- বাচ্চু মিয়া ও তাহের গং ৩ একর ৯৬ শতাংশের মালিক ছিলো। কিন্তু তারা বিভিন্ন দলিলে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ একর ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় করেছে। ওরা এখন পথের ফকির। তারা নানা লোকের কু-পরামর্শে আমাদের জমিতে এসে নানা অযৌক্তিক দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- বাচ্চুর ভগ্নিপতি রমিজ উদ্দিন ও জনৈক আয়েশ উদ্দিন গত ০৯/১১/২০০৮ তারিখে এক মহিলাকে ভাড়া করে এনে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের সম্পত্তি আমমোক্তার করে নেয়।
আরো জানাযায়- আবু তাহের গত ২৫/০৫/২০০৮ তারিখে আর এস ৬০৫ দাগে সাড়ে ১৬ শতাংশ সম্পত্তি বাচ্চু গংদের নিকট থেকে খরিদ করে।
অথচ খারিজ করার সময় জালিয়াতির আশ্রয়ে দলিলের ৫ নং পৃষ্ঠা পরিবর্তন করে আর এস ৬৪৯ দাগে খারিজের আবেদন করে। যা আমরা জানতে পেরে কাশিমপুর ভূমি অফিসে আপত্তি জানালে তা এখ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
হাজী কফিল উদ্দিন ও হাজী সেকান্দার আলী বর্তমানে ওই বাচ্চু, তাহের, রমিজ উদ্দিন, তোফাজ্জল ও টোটা মিয়া নামের প্রতারক চক্রের হাতে অহেতুক নাজেহালের বিচার দাবি করেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট।