• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

গণতন্ত্র কায়েম করবেন তারেক জিয়া: মালিক


প্রকাশিত: ৪:৩৯ এএম, ১৪ অক্টোবর ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭ বার

দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরে জিয়াউর রহমানের মাজারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালিক, সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা-ছবি দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন

লাবণ্য চৌধুরী : দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালিক বলেছেন, সঠিক সময়ে তারেক রহমান দেশে ফিরে রাষ্ট্র মেরামতে নেতৃত্ব দেবেন। মালিক বলেন, এদেশে স্বাধীনতা এনেছেন শহীদ জিয়া, স্বাধীনতা রক্ষা করেছেন খালেদা জিয়া, এবার গণতন্ত্র কায়েম করবেন তারেক জিয়া। ইতিমধ্যে এর কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। এজন্যে আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসভি-৮০৮ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছার জবাবে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি অনেকটা আবেগঘন হয়ে পড়েন। তাকে স্বাগত জানাতে এদিন বিমানবন্দরের প্রবেশপথসহ ভিআইপি কর্ণারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। পরে আব্দুল মালিক বিমান থেকে নেমে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সংবর্ধনাস্থলে এসে বিগত স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত কামনা করেন এবং যারা আহত হয়েছেন সেই আহত পরিবারগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালিক, সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা-ছবি দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন

বিমানবন্দর থেকে মালিক সরাসরি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্রদের ওপর যেসব ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছে, তাদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? যারা আবু সাঈদ, মুগ্ধ,ফয়েজকে হত্যা করেছে তাদেরকে আপনারা খুঁজে পাবেন না এটা কেমন কথা? আপনারা যদি এদেরকে আইনের আওতায় না আনেন তাহলে তারা আরো বড় ধরনের নাশকতা করবে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে গেছেন। ভারত তাদের পাসপোর্ট চেক করেনি। তাদের ভিসাও লাগেনি। অথচ বাংলাদেশের অন্য মানুষ ভারতে গেলে তাদের তো পাসপোর্ট-ভিসা লাগে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যকে র‌্যাব-পুলিশ বাংলাদেশে দুই মাস গুম করে রাখার পরে ভারতে ফেলে দিয়ে এসেছিল। সেখানে তার মামলা ফেইস করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সে দেশে গণতন্ত্র আছে। তারা কি করে বাংলাদেশকে এক চোখে দেখে? তারা জনগণকে অবজ্ঞা করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করে। তারা অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে।