‘গণতন্ত্রের জন্যে ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য চাই’
বিশেষ প্রতিনিধি : গণতন্ত্রের জন্যে ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য চাই আমরা; কিন্তু ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই, এটি আমরা চাইনি। এতে গণতন্ত্রের সুবাতাস জনগণ পাচ্ছে না। তাই আমরা ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ বিবাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ঐক্যের আশা করি।আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহনগর উত্তর ও দক্ষিণ’র নেতাদের সাথে আগামী ২৩ জুন দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির করণীয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এটাই আওয়ামী লীগ চায়। কারণ রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ যদি শক্তিশালী না হয়? তবে গণতন্ত্রের সুবাতাস জনগণ পাবে না। তাই আমরা ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই।গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী দল থাকা অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। এরা সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিক। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
নেত্রীর কারামুক্তি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যেহেতু বাজেট অধিবেশন শুরু আজ থেকে তাই হয়তো সকল নেতাকর্মী সংসদে যে স্থানে নেত্রীকে আটক রাখা হয়েছিল, সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে নেত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানাবেন। কাদের বলেন, নেত্রী দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আমরা নেত্রীর ভবিষ্যৎ কর্মময় জীবনের মঙ্গল কামনা করছি।
আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় এবং নেতাকর্মীদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও আইনের মাধ্যমে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা নেত্রীর ভবিষ্যৎ কর্মময় জীবনের শুধু মঙ্গল কামনাই করছি না, বরং নেত্রীর আপদ-বিপদে সকল নেতাকর্মী একযোগ ঝাপিয়ে পড়ার অঙ্গীকার পুনব্যর্ক্ত করছি।