খাদ্য-ইন্টারনেট সুবিধা অধিকার ‘মৌলিক ও মানবাধিকার’-ইনু
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও ইন্টারনেট সুবিধার অধিকারকে ‘মৌলিক মানবাধিকার’ হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।শনিবার বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক অধিকার রয়েছে। কিন্তু যুগের চাহিদা অনুসারে দুটি অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটের অধিকারও মানবাধিকার। এটা লেটেস্ট পজিশন। সুতরাং ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা মানবাধিকার। এটা না দিলে মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হবে।খাদ্যের অধিকারও মানবাধিকার। সুতরাং এই দুই অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তা মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সমাজকে আরও সভ্য করবে।
‘সংখ্যালঘুর’ অধিকার ও নারীর অধিকারকে ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে ইনু বলেন, “সংখ্যালঘুর অধিকারের পক্ষে থাকব। নারীর অধিকারের পক্ষে থাকব। লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকব।অনলাইন জগতের অপরাধ মোকাবেলার প্রসঙ্গ তুলে ইনু বলেন, আপনার জন্য যে সাইবার স্পেস আমরা সৃষ্টি করছি, সাইবার অপরাধীরা সেই সাইবার জগতটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, পরিস্থিতিতে অসহনীয় করে তুলছে।
সুতরাং মানুষকে যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেন, তাহলে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন, সেই আইন করতে হবে।‘একই অবস্থা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রেও’- একথা উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, আজকে গণতেন্ত্রর উত্তরণপর্বে সবচেয়ে বড় হুমকি হচ্ছে, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস।
মানবাধিকারের জন্যও জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে মনে করেন জাসদ সভাপতি ইনু।তিনি বলেন, এই হুমকি মোকাবেলার পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হুমকি, গণপিটুনি- এসবকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিচ্যুতি হিসেবে নিয়ে সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের কাজ হবে, জঙ্গিবাদ ধ্বংস করে দেওয়া এবং গণতন্ত্রের বিচ্যুতি সংশোধন করা।গণমাধ্যমের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা ক্যামেরা সরকারের ওপর রাখুন, আরেকটি ক্যামেরা জঙ্গি-সন্ত্রাসের ওপর রাখুন। তবেই কেবল ন্যায় বিচার হবে।যেটা মা, কন্যা, স্ত্রী, পরিবারের সামনে বলেন না, সেটা জনসম্মুকে প্রচার করবেন না। প্রকাশ করবেন না।
পরিবারের জন্য যেটা আপনি করেন না, সেটা জনসাধারণের জন্য করতে পারেন না।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাসদ সভাপতি বলেন, তিনি নিরপেক্ষ নন। তার পক্ষ হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও সাম্য।
আপনারা যারা মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করেন, আপনারা আদর্শবাদী। চমৎকার আদর্শগুলোর লক্ষ্যভেদ করতে হলে ধনুক দরকার। আদর্শগুলো তীর হয়; ধনুক হচ্ছে রাজনীতি।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নাজমুল হুদা বলেন, তিনি ইচ্ছা করলেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘দুর্নীতির ঊর্ধ্বে’ রাখতে পারেন।এর জবাবে ইনু বলেন, ইচ্ছা দিয়ে হবে না, আইন দিয়ে হবে। আইনটা কমিশনকে করে দিতে হবে। সেই প্রস্তাবটা যদি উনি (নাজমুল হুদা) দিতেন, তাহলে আমি সেটা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের কাছে নিয়ে যেতাম।