• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

খাজা মিয়ার নয়া রাজনীতি-পক্ষে বিবৃতি মন্ত্রণালয় ও নেতাদের


প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ৮ জুলাই ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে নিজ এলাকা নড়াইলে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছেন, একাধিক গণমাধ্যমে উঠা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার কয়েকজন। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সচিবের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে সই করেছেন কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশিদ, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চৈতি রানী বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম সোহাগ প্রমুখ।

এতে বলা হয়, ‘কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া নড়াইল জেলার বাসিন্দা। নিজ জেলার সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি সরকারি ছুটির দিনে প্রায়ই নিজ এলাকা কালিয়া ও নড়াইল সফর করেন এবং স্থানীয় লোকজনের খোঁজখবর নেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুন অর্থাৎ ঈদের পরের দিন তিনি স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণমানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি যুব সমাজ ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করেন। তিনি কালিয়া ও নড়াইলের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা জানতে চেষ্টা করেন ও সিনিয়র সচিব হিসেবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই মুহূর্তে নড়াইল-১ আসনে জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ের কোনো নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি বা কোনো ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই নির্বাচনী জনসভার আয়োজন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর ও কাল্পনিক। খাজা মিয়া সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের বা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে বক্তব্য রাখার প্রশ্নই উঠে না।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তার একটি বক্তব্য এডিট করে বিকৃতভাবে ভিডিও আকারে প্রকাশ করে তার সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা দুঃখজনক। তবে এ কথা সত্য যে, তিনি সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ারের তুলনায় নড়াইল-১ আসনের বেশ কিছু অঞ্চলে নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা ও দুর্বলতার কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ঘাটতি রয়েছে বলে লক্ষ্য করেছেন এবং সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।