খন্ডিত খাসোগির লাশ খুঁজছে ইস্তাম্বুল

ডেস্ক রিপোর্টার : সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকান্ডে ১৮ খুনীকে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও সৌদি আরব। ঘাতকরা প্রথমে খাসোগির আঙুলগুলো কেটে ফেলার পর তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে শরীর টুকরো টুকরো করে খুন করে। নিহতের শরীরের অংশ সমূহ খুঁজতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে হচ্ছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

পৃথক সূত্র জানায়, সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসের ভেতরে খুন হওয়ার আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে ফোন করেন। এ সময় যুবরাজ সালমান খাসোগিকে রিয়াদ ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু খাসোগি রিয়াদ যেতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানান।

জানা গেছে, যুবরাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে, খাসোগি ধারণা করেছিলেন সৌদিতে ফিরে গেলে তাকে গ্রেফতার ও পরে হত্যা করা হতে পারে।তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, টেলিফোনে যুবরাজের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার পর ঘাতক দল খাসোগিকে হত্যা করে। যারা হত্যা করেছিল তারাই তাকে কনস্যুলেটের ভেতরে আটক করে রেখেছিল। কর্তৃপক্ষের মতে, খাসোগির আঙুলগুলো কেটে ফেলার পর তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার শরীর টুকরো টুকরো করা হয়।

আদেল আল-জুবায়ের প্রথম স্বীকার করলেন, খাসোগির নিহত হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা ছিল না, বরং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ‘সৌদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অগোচরেই’ এ কাজ সম্পাদন করা হয়েছে।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি ভয়ঙ্কর ভুল ছিল এটি। বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা আরও সেই ভুলটিকে জটিল করে তুলছে।যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে এ কাজ করা হয়নি বলেও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দাবি করেন।