ক্ষুদ্ধ গ্রাহক-গ্যাস না দিয়ে সরকার বিল নিচ্ছে কেন!
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার গ্রাহকদের গ্যাস না দিতে পারলেও মাসের পর মাস বিল নিচ্ছে। এতে ক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা ।
তারা বলছেন, গ্যাস না দিয়ে বিল নেয়া সরকারের নৈতিকতা বর্হিভূত। রাজধানীবাসী গ্যাস সংকট নিয়ে আরো ক্ষুদ্ধ! ওদিকে প্রায় চার বছর ধরে তীব্র গ্যাস সঙ্কটে রাজধানীর ডেমরা এলাকার কোনাপাড়ার বাসিন্দারা। কয়েক মাস ধরে সেই সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে।
মধ্যরাতে দু’এক ঘণ্টার জন্য গ্যাস এলেও দিনের বেলা কোন গ্যাস মিলছে না। অথচ মাস শেষে বিল দিতে হচ্ছে ঠিকই। বাধ্য হয়েই সিলিন্ডার বা লাকড়ির চুলায় রান্না করতে হচ্ছে মানুষকে।
বাড়ির গৃহিণীরা জানাচ্ছেন, দিনের বেলায় কখনও গ্যাসের দেখা মেলে না। নগরীর ডেমরা এলাকার কোনাপাড়ায় এমন অবস্থা চলছে প্রায় চার মাস মাস ধরে। প্রতিটি ঘরে একই চিত্র। এলাকাবাসী বলছে গেলো প্রায় চার বছর ধরেই এই এলাকায় গ্যাসের সঙ্কট চলছে। কিন্তু এবার শীতে সেই সংকট চরমে পৌছেছে। মাস শেষে তাদের যেমন গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে তেমনি রান্নার উপায় না পেয়ে সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে। এখন সেই সিলিন্ডারের দামও আবার আকাশ চুম্বী।
চারতলা একটি ভবনে থাকে ৭টি পরিবার। লাইনে গ্যাস না থাকায় ছাদের উপর তৈরি করেছেন ৫টি লাকড়ির চুলা। পর্যায়ক্রমে সবাই এখানেই রান্না করেন। কিন্তু লাকড়ির দামও এখন বাড়তি।
শুধু কোনাপাড়াই নয়। পাশের কাজলা, যাত্রাবাড়ি, ওয়ারি, মুগদাসহ প্রতিটি এলাকাতেই গ্যাসের সংকট দিন দিনই বাড়ছে।
তিতাস সূত্র জানা গেছে, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার আশেপাশের এলাকাতে গ্যাসের চাপ থাকছে না। তবে এই সংকট কেটে যাবে। দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, এর বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে ২৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক প্রায় এক হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কম করা হচ্ছে।