ক্ষমতাসীনরা ধর্ষণের সাথে জড়িত-রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ষণের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, অগনতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারনে দেশে ধর্ষণ নির্যাতন বেড়েছে, বিচার হচ্ছেনা। শনিবার (১১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
কিশোরগঞ্জের নার্স তানিয়া আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।রিজভী বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাইকারী হারে নারী নির্যাতন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও স্পীকার নারী হওয়ার পরও নারীদের উপর এ সামাজিক অপরাধ রোধ করতে পারছেন না। কারণ এসব অপরাধে যারা জড়িত, তারা অধিকাংশই সরকার দলীয় লোকজন হওয়ায় অপরাধের বিচার থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এসব ধর্ষক ও খুনিদের কারাগারে আটকে না রেখে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলদের মত রাজনীতিবিদদের কারাগারে আটকে রেখেছেন। তিনি বলেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সব কয়টি মামলায় জামিন হওয়ার পরও নতুন করে আবার দুটি মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছেন। কারণ টুকুদের মুক্তি দেয়া হলে সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে। তাই তাদের জেলের বাইরে থাকার অধিকার নেই।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দুর্নীতির মামলার সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। গণতন্ত্রকে কারাগারে প্রকোষ্ঠিত করতেই বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে আটকে রেখেছে।তিনি আরও বলেন, সরকার জানে বেগম জিয়া মুক্ত হলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে। আর গণতন্ত্র মুক্ত হলে অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাতে দাড়াতে না পাড়ে এ জন্য ই বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে আটকে রাখা হচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।