• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ক্রিকইনফোর পোস্টমর্টেম-কার্টার যাদুকারকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেনি সানরাইজার্স পোস্টমর্টেম-কার্টার যাদুকারকে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেনি সানরাইজার্স


প্রকাশিত: ২:৫৯ এএম, ১৪ এপ্রিল ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

5মরিয়ম সুলতানা :   কার্টার যাদুকার মুস্তাফিজকে ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারায় হেরেছে 1সানরাইজার্স। এ বিশ্লেষন ক্রিক ইনফোর।তাঁরা বলেছে, এবি ডি ভিলিয়ার্স তখন রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিচ্ছেন—যা মারছেন, সেটাই চলে যাচ্ছে গ্যালারিতে। এমনকি ব্যাটে ঠিকমতো না লাগিয়ে ওপরের কানা দিয়েও মেরে দিচ্ছেন ছক্কা। মাত্র ৩৮ বলে ৮২ রানে অপরাজিত।

কেবল চার-ছক্কা থেকেই নিয়েছেন ৬৪। ১২ ওভার পর আক্রমণে ফেরা মুস্তাফিজের প্রথম বলটার ঠিকানা গ্যালারি বানাতে গিয়ে স্রেফ বোকা বনে গেলেন এবি। স্কুপ করতে গিয়ে নিজেই যেন তাল হারিয়ে ফেললেন। পরের বলেই তুলে দিলেন ক্যাচ, যে এবির ‘অত্যাচারে’ বাকি বোলারদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা, ​সেই তিনিই যেন এবার নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেন অফ কাটারের ধাঁধা বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিয়ে।

ততক্ষণে অবশ্য সানরাইজার্সের যা সর্বনাশ হওয়ার হয়েই গেছে। ডি ভিলিয়ার্স আর কোহলি সানরাইজার্সের নাকের জল-চোখের জল রীতিমতো এক করে ছেড়েছেন ১৫৭ রানের টর্নেডো-জুটিতে। পাওয়ার প্লের মধ্যে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১০ রান দেওয়া মুস্তাফিজ ১৮ ও ২০তম ওভার দুটিতে দিলেন ১৬। বিশেষ করে ১৮তম ওভারটিতে ৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেওয়ার পর ডেভিড ওয়ার্নারের সিদ্ধান্তটি যেন আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হলো। কেন আগেই আনা হলো না মুস্তাফিজকে?

ওয়ার্নার আগেই ​ঠিক করে রেখেছিলেন শেষ তিন ওভারের দুটি মুস্তাফিজকে দিয়ে করাবেন। স্লগ ওভারে রানের স্রোতে বাঁধ দেওয়াই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। কিন্তু ৯ থেকে ১৫—এই সাত ওভারে বেঙ্গালুরু যখন ৯৫ রান তুলল, তখনো তো নিজের এই পূর্বপরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারতেন। এমনকি ১৩ থেকে ১৫, এই তিন ওভারে যখন প্রতিপক্ষ ৪৫ রান তুলে ফেলল, তখনো ওয়ার্নার আগের পরিকল্পনায় অটলই থাকলেন!

মুস্তাফিজকে কাল নিজের বোলিংয়ে খুশি থাকতেই পারেন। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট। বোলিংও করেছেন পাওয়ার প্লে আর স্লগ ওভারে। মাত্র তিনটি বাউন্ডারি খেয়েছেন, দুটিই ইনিংসের শেষ চার বলে। মুস্তাফিজের প্রথম ১২ বলের নয়টি খেলেছেন কোহলি, তিনটি ডি ভিলিয়ার্স।

পরে ব্যাটিং করে সানরাইজার্সের ১৮২ রান তোলা দেখার পর সমর্থকদের আক্ষেপ আরও বেড়েছে। মুস্তাফিজকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে বেঙ্গালুরু প্রথমে হয়তো ২২৭ রানের বিশাল পুঁজি পেতই না।

কাল ম্যাচ শেষে ক্রিকইনফোর বিশ্লেষণেও উঠে এসেছে এটি। ভিডিও বিশ্লেষণে ডার্ক ন্যানেস ও ইয়ান ও’ব্রায়েন দলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ন্যানেস বলেছেন, ‘মুস্তাফিজের বোলিং দেখে বোঝাই গেল ওকে ওর দল ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি।’ ও’ব্রায়েন তো বিস্মিত, ‘দেখে মনে হলো ওরা যেন কাগজে লিখে নিয়ে মাঠে নেমে ওভাবেই সবকিছু করেছে, ওকে দিয়ে ৩ আর ৬ নম্বর ওভার করানোর পর ১৮ আর ২০তম ওভার করাব।’

ক্রিকইনফোর আরেকটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘মুস্তাফিজ যদি আগেই আরও বেশি কিংবা পুরো বোলিংটাই করতেন, তাহলে পরিস্থিতি কি অন্য রকম হতো? শেষ দিকে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বদলে দলের সেরা খেলোয়াড়টিকে কি ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যবহার করা উচিত ছিল? উত্তর হয়তো কখনোই পাওয়া যাবে না।’