‘ক্যান্সারের মত দুদকের মামলাও মানুষকে পরিবারসহ শেষ করে দেয়’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাওয়া যায় জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমাদের কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আসে। আমরা গত এক বছরে ১২ জন কর্মকর্তাকে আমাদের বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ বিষয়ক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার বিরদ্ধে আসা অভিযোগের সমাধান দুদক কেন কোনো কমিশনই দিতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শত দুদক দিয়েও সমাধান মিলবে না। যদি আমরা আপনারা ঠিক না হই।
তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, দুদকের মামলা থেমে থাকে না, এটা শেষ হয়। ক্যান্সার যেমন একটা মানুষকে শেষ করে দেয়, তার পরিবারকেও শেষ করে দেয় তেমনি দুদকের মামলাও একটা মানুষকে তার পরিবারসহ শেষ করে দেয়। এজন্য আমরা কোনো মামলা দিতে চাই না। এই মামলা যাতে কারো বিরুদ্ধে না হয়। আমরা চাই আপনারা সতর্ক হোন। দুর্নীতি যাতে না হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে স্ক্যানিং ছাড়া কন্টেইনার যায় জানিয়ে তিনি বলেন, যে সব কন্টেইনার স্ক্যানিং ছাড়া যায় সেগুলোতে পণ্যের বদলে অস্ত্রওতো যেতে পারে। তাই বন্দরের প্রতিটি কন্টেইনার স্ক্যানিং করে তারপর ছাড় দিতে হবে। বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, দুদকের মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহারসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।